মন্দারমণির কাছে সমুদ্র সৈকত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় গত সোমবার উদ্ধার হওয়া তরুণীর পরিচয় মিলল। নিহত ওই তরুণীর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরে। মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিস গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়ার পর দেহটি অজ্ঞাতপরিচয় থাকলেও, আজ ওই দেহটি শনাক্ত হয়। নিহত ওই তরুণীর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর নোটিফাইড এরিয়া অথরিটির এইচ ব্লকে।
ওই তরুণীর বয়স ২৩ বছর। তিনি চাকদা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ইতিহাসে অনার্সের ছাত্রী ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে তাহেরপুর থেকে ব্যারাকপুরে দিদির বাড়িতে যান ওই তরুণী। দিদিকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে যান। শুক্র ও শনিবার দিদির শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। তারপর রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সোদপুরে বিউটি পার্লারে কাজ করতে যাওয়ার নাম করে দিদির বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু তারপর সন্ধ্যার পর থেকে ওই তরুণীকে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ আছে শোনায়।
এরপর ওইদিনই তাহেরপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। আজ সকালে জানতে পারেন, মন্দারমণিতে ওই তরুণীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হওয়ার কথা। পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তবে কী কারণে ওই ছাত্রী মন্দারমনিতে গিয়েছিলেন, কারা তাকে খুন করেছে, কেন বিবস্ত্র অবস্থায় তার দেহ সমুদ্র সৈকতে পড়েছিল, সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সোমবার সকালে স্থানীয় মানুষ যাঁরা বোতল কুড়াতে আসেন, তাঁরাই পাথরের উপর ওই তরুণীর বিবস্ত্র দেহ দেখতে পান। তাঁরাই মান্দারমনি কোস্টাল থানায় খবর দিলে, পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রাই জানান যে, ওই তরুণী এখানকার নয়। কেউ তাকে বাইরে থেকে এনে খুন করেছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং সেই সঙ্গে রাস্তার পাশে কোনও স্ট্রিট লাইট না থাকার কারণে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষদের। অবিলম্বে স্ট্রিট লাইট এবং পুলিসের নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।