শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কোনও গুরুত্ব নেই তৃণমূলে, এমনটাই মনে করেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ বুধবার সকালে রেল শহর খড়্গপুরে এক চা চক্রে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি৷
দিলীপ ঘোষের কথায়, “শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের পুরনো রাজনীতিক, যাঁরা মূল্যবোধ নিয়ে রাজনীতি করেছেন, তাঁরা আজ তৃণমূলের কাছে অপাংক্তেয় এবং অপমানিত। তারা আছেন কি না, তা খুঁজে পাওয়া যায় না৷ তাঁদের, দলে কোনও জায়গা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেসের এই বিশাল সংখ্যক নেতারা একসময় তৃণমূলে এসেছিলেন, তাঁরা এখন হতাশ ও শেষ জীবনটা কোনোক্রমে কাটিয়ে দিচ্ছেন এই তৃণমূল নামক দলে থেকে। তাঁরা দলে যাই বলুক, তাতে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না।”
শুধু শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ই নয়, তৃণমূল সংক্রান্ত আরও একাধিক বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি থেকে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা-সহ নানা বিষয় নিয়েও তিনি মন্তব্য করেছেন৷
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি এবং যাঁদের কাছ থেকে নিয়েছেন, তাঁরাও মেনে নিয়েছে। বাকিটা বিচারব্যবস্থা দ্বারা প্রমাণিত হবে তিনি নিয়েছেন কী, নেননি৷”
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, সংসদে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করা সংক্রান্ত যে অভিযোগ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে উঠেছে, তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “শুধু কোনও একটা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে হয় না৷ প্রয়োজন হলে ওরা আদালতে যেতে পারে। আদালত সবার জন্য খোলা। তবে এটাও ঠিক আগের সরকার এরকম বহু গোষ্ঠীকে বহু রকম সুবিধা দিয়েছে।”
আদানির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিরোধীদের আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মোদীজির গায়ে কেউ দাগ লাগাতে চাইলে, তা আমরা মেনে নেব না। ওঁর গায়ে সামান্য দাগও কেউ লাগাতে পারবে না।”
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আদালত সবার জন্য খোলা আছে। সবাই মামলা করতে পারে, বিচার চাইতে পারে। কিন্তু ওঁরা যতবারই অভিযোগ করেছেন, ততবারই থাপ্পড় খেয়েছেন। যাঁদের মান নেই, তাঁদের আবার মানহানির মামলা আসবে কোথা থেকে?”