আলমারির পর আলমারি, থরে থরে সাজানো ২০০, ৫০০ এবং ১০০ টাকার নোটের বান্ডিল। ওড়িশার একটি সংস্থায় আয়কর হানা দিয়ে টাকার পাহাড় দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান আধিকারিকরা। টাকার পরিমাণ দেখে আয়কর কর্তারাই অনুমান করতে পারছেন না কত টাকা হতে পারে। নিয়ে আসা হয়েছিল টাকা গোনার যন্ত্র। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে গুনতে সেই যন্ত্রও বিকল হয়ে গিয়েছে।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, বৌধ ডিস্টিলারিজ় প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড শাখায় অভিযান চালানো হয়। ওড়িশার বোলাঙ্গির, সম্বলপুর এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচী, লোহারডাগায় তল্লাশি অভিযান চলছে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, বুধবার পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকা গোনা হয়েছে। কিন্তু তার পরই টাকা গোনার যন্ত্রগুলি বিকল হয়ে যায়।
ওড়িশা টিভি-র প্রতিবেদন বলছে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার মিলিয়ে ১৫০ কোটি টাকা গোনা সম্ভব হয়েছে। আর কত টাকা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে সূত্রের খবর। তবে টাকার পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ওড়িশার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। তার পরই বুধবার এই অভিযান চালানো হয়। শুধু সংস্থার প্রধান কার্যালয়েই নয়, সংস্থার ডিরেক্টরদের বাড়ি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শুধু বৌধ ডিস্টিলারিজ়ই নয়, আয়কর হানা চলছে ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ী রামচন্দ্র রুংটার সংস্থার বিভিন্ন অফিসে।