সৌদির বুকে তুষারপাত! আল জফের মরুপ্রান্তর ঢাকল বরফের চাদরে

যে কলকাতায় গরমে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যায় ৪২ ডিগ্রি, সেখানে কি কখনও তুষারপাত হতে পারে? প্রশ্ন শুনে যে কেউ বলতেই পারেন, অসম্ভব।

কিন্তু, সত্যিই কি প্রকৃতির খেলা বোঝা যায়? সৌদি আরবের ঊষর মরুপ্রান্তর এ বার ঢাকল বরফে। সৌদির উত্তরে রয়েছে আল জফ প্রদেশ। আল জফের পশ্চিমে রয়েছে জর্ডন। চারদিক রুক্ষ, শুষ্ক। শীতের দিনে এখানে তাপমাত্রার পারদ নামে ঠিকই, তবে তা হিমাঙ্কের নীচে চট করে পৌঁছয় না।

সেই আল জফই প্রবল শিলাবৃষ্টির ফলে ঢাকল সাদা চাদরে। এখন সে স্থান দেখলে কেউ ভাবতেও পারবেন না, এটা কোনও মরুপ্রান্তর। রাস্তাঘাট, ঢেউ খেলানো ভূভাগ— যে দিকে চোখ যায় সবটাই সাদা। সৌদি আরবের একটি সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, প্রবল শিলাবৃষ্টির ফলেই বদলে গিয়েছে আল জফের চেনা ছবি।

এই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করছেন অনেকেই। কিন্তু, মরুভূমিতে তুষারপাত!

এর সঠিক কারণ বোঝা না গেলেও অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনা আবহাওয়া বদলের বড়সড় ইঙ্গিত। তবে এ নিয়ে হইচই হলেও মরুভূমিতে তুষারপাত বিরলতম নয়।

আফ্রিকার সাহারা মরুভূমিতে বেশ কয়েক বার তুষারপাত হয়েছে। সৌদি আরবেও ২০১৬ সালে এক বার তুষারপাত হয়েছিল। সেই সময় প্রবল বৃষ্টির হাত ধরে সৌদি আরবের শাকরা এবং তবুলকের বরফের আস্তরণ দেখা গিয়েছিল। আল জফের তাপমাত্রাও পৌঁছেছিল হিমাঙ্কের নীচে।

তবে আল জফের বিস্তীর্ণ এলাকা এ ভাবে বরফে সাদা হয়ে থাকার ছবি আগে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই মরুভূমির বুকে তুষারপাতে তাই বাড়তি কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

তবে এ নিয়ে যতই মাতামাতি হোক, সেখানকার আবহাওয়া দফতর এই বদল নিয়ে চিন্তিত। পরিবেশে এর কী প্রভাব পড়তে পারে বা আগামী দিনে কী হতে চলেছে, তা নিয়েই ভাবছেন আবহবিদেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.