ভোপালের জাম্বুরি ময়দানে জনসংঘের সহ প্রতিষ্ঠাতা দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে কর্মী মহাকুম্ভে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেন, কংগ্রেস সরকার যদি ক্ষমতায় চলে আসে তাহলে এই রাজ্য রোগগ্রস্থ রাজ্যে পরিণত হবে। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তারা তাদের শাসিত প্রত্যেকটি রাজ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মধ্য প্রদেশেও একই কাজ করবে কংগ্রেস। তাঁর দাবি, নেতা থেকে স্লোগান, সবকিছুই এখন শহুরে নকশালদের কাছ থেকে আউটসোর্স করে কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি মধ্যপ্রদেশে কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে শাসন করছে। মধ্যপ্রদেশের বর্তমান যুবকরা ভাগ্যবান, কারণ তারা কংগ্রেস সরকারের খারাপ শাসন দেখেনি। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস দীর্ঘকাল মধ্যপ্রদেশ শাসন করেছে এবং এই রাজ্যকে রোগগ্রস্থ রাজ্যে পরিণত করেছে। তারপর অনেক চেষ্টা করে এই রাজ্যের হাল ফিরিয়েছে বিজেপি, তাকে ভালো জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। তারা নেতা থেকে শুরু করে স্লোগান, সবকিছু শহুরে নকশালদের আউটসোর্স করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস প্রথমে ধ্বংস হয়েছে। এখন তারা কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেন, “কে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে?” এরপর নিজেই তার উত্তর দিয়ে বলেন, “শহুরে নকশালরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করছে, যাতে মধ্যপ্রদেশের সব জনগণকে পুরনো দিনের মুখোমুখি না হতে হয়। সামনের বছরগুলি মধ্যপ্রদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দল বলে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার তারা সুযোগ পেলে রাজ্যের বড় ক্ষতি করে দেবে।
কর্মী মহাকুম্ভে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, “বিজেপি দেশের ১৩.৫ কোটি মানুষকে দরিদ্র থেকে মুক্ত করেছে, যা মধ্যপ্রদেশের জনসংখ্যার থেকে বেশি। মোদীর গ্যারান্টি কখনো ফাঁকা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারা মহিলাদের জন্য সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করিয়েছেন যা প্রতিশ্রুতির অংশ ছিল। সেই বিলের মাধ্যমে ভারত ইতিহাস রচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, তার শাসনের সময় প্রতিটি প্রতিশ্রুতির গ্যারান্টি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলগুলি নারী শক্তিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করবে। তাই তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং কংগ্রেসের বিভাজন মূলক রাজনীতির শিকার না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।