দিনটাই মহম্মদ সিরাজের। খেলা শুরুর আগেই শেষ করে দিলেন হায়দরাবাদের পেসার। এশিয়া কাপের ফাইনালে ৬ উইকেট নিলেন সিরাজ। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়ে গেল ৫০ রানে। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল রোহিত শর্মার ভারত। ১০০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে গেল ২১.৩ ওভারে।
রবিবারের দুপুরে সকলে টিভির সামনে বসেছিলেন আয়েশ করে ম্যাচ উপভোগ করার জন্য। কিন্তু টসের পরেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। খেলা ঠিক সময়ে শুরু করা যায়নি। ৪০ মিনিট পরে শুরু হয় খেলা। সেই বৃষ্টিই কাল হল শ্রীলঙ্কার জন্য। শুরু থেকেই পেসারেরা সাহায্য পেয়ে যান। শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের জন্য টিভি বন্ধ করার ব্যবস্থা সিরাজ করে দিয়েছিলেন ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই। সেই ওভারেই চার উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম ওভারে যশপ্রীত বুমরা একটি উইকেট নিয়েছিলেন। পরের ওভারে কোনও রান দেননি সিরাজ। শুরুটা ভাল হয়েছিল ভারতের। সেটাকে আরও ভাল করে দিলেন সিরাজ।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই সিরাজ ফেরান পাথুম নিসঙ্ককে। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি। কভারের দিকে তাঁর মারা শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরেন রবীন্দ্র জাডেজা। বলটা একটু নিচু হয়ে এসেছিল। কিন্তু ফিল্ডার হিসাবে জাডেজার দক্ষতা আগেই প্রমাণিত। কঠিন ক্যাচও তিনি সহজ ভাবে ধরে নেন। তৃতীয় বলে আসে দ্বিতীয় উইকেট। সিরাজের বল ভিতর দিকে ঢুকে এসেছিল। বলের লাইন ফসকেছিলেন সাদিরা সমরবিক্রম। বল লাগে প্যাডে। আঙুল তুলতে একটুও সময় নেননি আম্পায়ার। পরের বলেই আউট চরিথ আসালঙ্ক। বাঁহাতি ব্যাটারকে অফস্টাম্পের বাইরে বল করেন সিরাজ। সেই বলে ব্যাট চালিয়ে সহজ ক্যাচ দেন আসালঙ্ক। কভারে ক্যাচ নেন ঈশান কিশন। ওভারের শেষ বলে ধনঞ্জয় ডি’সিলভার উইকেট নেন সিরাজ। আউটসুইং বল ছিল অফস্টাম্পের বাইরে। প্রলোভিত হয়ে কভার দিয়ে ড্রাইভ করে চার মারতে গিয়েছিলেন ধনঞ্জয়। বল জমা পড়ে উইকেটকিপার কেএল রাহুলের হাতে।
সিরাজের ওই এক ওভারেই সব শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বাকিটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেই কাজে সিরাজকে সাহায্য করেন হার্দিক পাণ্ড্য। তিনি নেন ৩ উইকেট। ১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দুসন হেমন্ত এবং কুশল মেন্ডিস চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচ ধরার। কিন্তু সেটাও হতে দেননি সিরাজ। তাঁর বলে বোল্ড হন মেন্ডিস। শেষ তিনটি উইকেট নেন হার্দিক। দুনিত ওয়েল্লালাগে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের হাতে। ১৬তম ওভারে প্রান্ত বদলে বল করতে আসেন হার্দিক। প্রথম ২ বলেই দু’টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ৫০ ওভারে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
এশিয়া কাপ জিততে ভারতের দরকার ছিল ৫১ রান। সেই রান করার জন্য রোহিত শর্মা ওপেন করতে নামেননি। সুযোগ দিয়েছিলেন ঈশানকে। শুভমন গিলের সঙ্গে তিনি নেমেছিলেন সহজ লক্ষ্য মাথায় নিয়ে। তাঁরা কোনও তাড়াহুড়ো করেননি। জয় নিশ্চিত ছিল। তাই আয়েশ করে ব্যাট করলেন দু’জনে। তরুণ দুই ওপেনার খেললেন নিজের ছন্দে। মাত্র ৬.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।