সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার মামলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। সিঙ্গুরে গাড়ির কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। সোমবার এই রায় দিয়েছে আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে সরকারকে। আর এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খামখেয়ালি নীতির কারণে ভোগান্তি পোহাতে হবে রাজ্যের নিরীহ করদাতাদের। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে রাজ্য সরকারকে শ্রীবিহীন হতে হবে। অর্থাৎ কন্যাশ্রী, পথশ্রী সহ একাধিক প্রকল্প বন্ধ করতে হবে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,
“আদালতের এই রায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের মুখে আরো একটা থাপ্পর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন টাটাকে বাংলা থেকে তাড়িয়েছিলেন। সেই সময় রতন টাটা বলেছিলেন আমি খারাপ
এম’কে বাদ দিয়ে ভালো এম-এর কাছে যাচ্ছি। সেই ভালো এম পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী যিনি সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আর খারাপ এম অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের আরো খারাপ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় ভুল করেছিলেন। যার ফলে আজও বাংলার লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী যারা শিক্ষিত হয়েও কাজ পাচ্ছে না। আজ প্রমাণিত হয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পদক্ষেপ ভুল ছিল।” তিনি বলেন, “শুধু তাই নয়, রাজ্যে জনগণের ঘাড়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকার বোঝা তার কারণে চেপেছে। এর ফলে আগামী দিনে যত শ্রী আছে সব শ্রী উঠে যাবে। সব শ্রীবিহীন হয়ে যাবে। যদি এই টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হয়।”
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, “টাটা মোটরস রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সিঙ্গুর মামলা জিতেছে। এর ফলে বার্ষিক ১১% সুদের সাথে রাজ্য সরকারকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মমতা সরকারের খামখেয়ালিপনার জন্য। এখন এই বিপুল অর্থ পশ্চিমবঙ্গের নিরীহ করদাতাদের কাছ থেকে আদায় করা হবে। এই ঘটনা আরও একটি দৃষ্টান্ত যে, কিভাবে তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষের জীবনের ক্ষতি করছে।” তাঁর কথায়, “আশা করি জনগণ এর থেকে শিক্ষা নেবে। যে বা যারা জনগণের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে তাদের শেষ পর্যন্ত মূল্য দিতেই হবে।”