কেকে-র মতো খ্যাতনামী শিল্পীকে কলকাতায় এনে অনুষ্ঠান করাতে যে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, তার উৎস কী? এ নিয়ে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুললেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী। সোমবার এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানের জন্য নজরুল মঞ্চে গান গেয়েছিলেন বলিউডের নেপথ্যগায়ক কেকে। অনুষ্ঠানের পরেই ৫৪ বছরের গায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের আবহের মধ্যেও চলছে তর্কবিতর্ক। অনুষ্ঠানের পর কেকে-র মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে সোমবার সকাল থেকে কলকাতা হাই কোর্টে ইতিমধ্যেই দু’টি জনস্বার্থ মামলা রুজু হয়েছে। প্রথমটিতে কেকে-র মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা করেন আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। একই দিনে দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়ের তরফে কেকে-র মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজে দেখার জন্য তদন্তের দাবি উঠেছে। এর পর তৃতীয় তথা এই জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারীর দাবি, কেকে-র অনুষ্ঠানের জন্য ২০-২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে এল? মামলার আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। ফলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নির্বাচিত কোনও ছাত্র সংসদ নেই। তবে কি এই অনুষ্ঠানের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকা ঢেলেছেন? নাকি কোনও ছাত্র সংগঠনের তরফে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে? তা-ই যদি হয়, তবে সেই টাকা কোথা এল? প্রশ্ন আবেদনকারীর। এ সবই ইডি-কে দিয়ে খতিয়ে দেখা হোক বলে দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, কেকে-র অনুষ্ঠানে আয়োজনকারী গুরুদাস কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে অব্যবস্থারও অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি-সহ বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ঘটনাচক্রে, এর পরেই তৃণমূল দলের তরফে টিএমসিপিকে বার্তা দেওয়া হয় যে নজরুল মঞ্চে যেন আর কলেজ ফেস্ট না হয়। কলেজের ফেস্টে যেন সংশ্লিষ্ট কলেজের পড়ুয়ারাই অংশ নেন। ‘বহিরাগতরা’ যাতে এ ধরনের অনুষ্ঠানে না ঢোকেন, সে বিষয়েও ছাত্র সংগঠনকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।