শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই নাকি খোঁজ নেই অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদের! কেমন আছেন তিনি?

৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশ ত্যাগ করে আশ্রয় নেন ভারতে। এর পর বাংলাদেশের বহু এলাকা থেকে আসতে শুরু করে অশান্তির খবর। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁর দল, আওয়ামি লিগের সদস্যদের উপরও নানা ধরনের হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আওয়ামি লিগ সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য ছিলেন অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। হাসিনা দেশছাড়ার পর থেকেই নাকি খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। অবশেষে মিলল খোঁজ।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সৃষ্টি হওয়া প্রবল অশান্তি এবং হিংসার আবহে বাংলাদেশে ঘটেছে পট পরিবর্তন। গত ৮ অগস্ট, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গড়া হয় সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বার বাংলাদেশের প্রাক্তন শাসকদল আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির পালা চলছে ধারাবাহিক ভাবে। সম্প্রতি হাসিনা-জমানার মন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দলের আর এক সদস্য ফিরদৌস। এ পার বাংলায় এক সময় প্রচুর ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। তাই অনেকেই চিন্তিত তাঁকে নিয়ে।খোঁজ করছিলেন তাঁরা। ইনস্টাগ্রামে শেষ বার তিনি পোস্ট করেন ২৮ জুলাই। তার পর ফেসবুকে ৩১ জুলাই একটি পোস্ট দেন। সেই শেষ। এ দিকে ফিরদৌসের বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন, তিনি যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেই প্রার্থণা করেছেন সমাজমাধ্যমে।

এ সবের মাঝেই ফের ফেসবুকে সক্রিয় হলেন ফিরদৌস। ২০ অগস্ট বাংলাদেশের শিল্পীদের এক হওয়ার ডাক দিয়ে একটি পোস্ট করেন। তার পর ২১ অগস্ট ফের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন যেখানে আওয়ামি লিগের শক্তির উত্থানের একটি বার্তা দেন। যদিও অভিনেতার এই পোস্টে মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন সে দেশের নাগরিকেরা। কেউ লিখেছেন, ‘‘এত দিনে ঘুম ভাঙল।’’ কেউ লিখেছেন, ‘‘এ বার ঠেলা সামলাও।’’ কেউ আবার অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছেন নায়ক-নেতাকে। যদিও কাউকেই পাল্টা জবাব দেননি ফিরদৌস। আপাতত কোথায় আছেন সেটাও প্রকাশ্যে আনেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.