রাজ্যসভার তিন সদস্য ও লোকসভা ভোটের তিন প্রার্থী, অর্থাৎ ছ’জনের নাম ও ছবি দিয়ে ‘বহিরাগত’ শব্দে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এক্স হ্যান্ডলে মঙ্গলবার তিনি লিখেছেন, “ভারতবর্ষের সংবিধান অনুযায়ী কোনও ভারতীয় নাগরিক, তিনি যে প্রদেশেরই হোন না কেন, অন্য কোনো প্রদেশে তাঁকে বহিরাগত আখ্যা দেওয়া যায় না। আমরাও কখনো কারুর গায়ে বহিরাগত তকমা সেঁটে দেইনি। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব বরাবর নিজেদের সুবিধার্থে ও স্বচ্ছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে সর্বভারতীয় স্তরের নেতাদের বহিরাগত বলে চিহ্নিত করেছে। আজ আয়নাটা ওনাদের মুখের সামনে তুলে ধরলাম।”
তৃণমূলের রাজ্যসভার তিন সদস্য দিল্লির সাকেত গোখলে, অসমের সুস্মিতা দেব এবং দিল্লির সাগরিকা ঘোষ সরদেশাই ও লোকসভার তিন প্রার্থী বিহার/দিল্লির কীর্তি আজাদ, গুজরাটের ইউসুফ পাঠান এবং বিহারের শত্রুঘ্ন সিনহা— এই ছ’জনের নাম ও ছবি দিয়ে ওই মন্তব্য করেছেন শুভেন্দুবাবু।
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে আলিপুরদুয়ারে এক জনসভার মঞ্চ থেকে জনতার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে আপনাদের মাথাটা খাচ্ছে। মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাইছে।’’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বিশেষ করে যে দিন নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে জনসভা করতে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা, সে দিন এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। নড্ডার সভামঞ্চ থেকেই সেই দিন অবশ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, কে বহিরাগত? তিনি বলেন, ‘‘উনি (নড্ডা) বাংলার জামাইবাবু। দু’দিন আগেও তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হল, বাংলায় কথা বলে এলাম। উনি আপনার (মুখ্যমন্ত্রী) ভাইপোর বউয়ের চেয়ে অনেক বেশি বাঙালি!’’