কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে বৈঠক সেরে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেখা না-করার বিষয়ে তিনি বলেন, “পাঁচ জনকে যেতে বলা হয়েছিল, ৪০ জন যেতে চান। ওটা হাট না ডায়মন্ড হারবার?”
‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র অভিযোগ তুলে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার যন্তর মন্তরের কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক-সহ তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলের। সঙ্গে ছিল ভুক্তভোগীদের আট জনের। কৃষিভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা না-করায় কৃষিভবনেই অবস্থান শুরু করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাত ৯টায় অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। রাত ১১টা নাগাদ তাঁদের ছেড়ে দেয়। সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আটকও করা হয়েছে, আবার বন্ড পেপারে সই করিয়ে ছেড়েও দিয়েছে। এতে আর কী।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা না-করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বৈঠকের পর ওঁদের সময় দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ জনকে যেতে বলা হয়েছিল, ওঁরা ৪০ জন যেতে চান। ওটা হাট না ডায়মন্ড হারবার?” এর পর আর কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের আগে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জ্যোতির সঙ্গে দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাতে চিঠি তুলে দিয়ে অনুরোধ করেন, ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে বাংলায় কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থের যে ‘তছরুপ’ হয়েছে, তার তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি যা তথ্য নিয়ে এসেছি, সব জমা দিয়েছি। কী ভাবে ভুয়ো কার্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারি অর্থ তছরুপ হয়েছে, তার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তুলে দিয়ে জানিয়েছি, দ্রুত যেন দুধ থেকে জল আলাদা করার প্রক্রিয়া চালু করা হয়।’’ ওই সাক্ষাতের বিষয় নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলেও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু।