সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর ‘হামলা’ চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হননি। তবে শুক্রবারের ঘটনায় তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করেছেন বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই তিন জনের ছবিও নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দুর চিহ্নিত করা তিন জনের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর এবং শেখ সিরাজুদ্দিন। তবে বিরোধী দলনেতা দাবি করলেও ওই ছবিগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বাকি এক জনের পরিচয় জানিয়েছেন শুভেন্দুই। তাঁর নাম জিয়াউদ্দিন। নামের সঙ্গে শুভেন্দু তাঁর পরিচয় দিয়ে লেখেন, “ইনি নাম করা অস্ত্র পাচারকারী, খুনি এবং বর্তমানে সরবেড়িয়া-অগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।” তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস এবং উৎসাহে ভর করে শেখ শাহজাহানের মতো দুষ্কৃতীরা রোহিঙ্গাদের একজোট করে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে চাইছে।” ‘দেশবিরোধী শক্তি’র বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু।
শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিজের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে ট্যাগ করেন শুভেন্দু। সেই এক্স বার্তায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের আর্জি জানানোর পাশাপাশি তিনি জুড়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, ইডির অধিকর্তা এবং সিআরপিএফকেও।
শুক্রবার সকাল হতেই ইডির একটি দল এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায়। কিন্তু সেখানে ইডি আধিকারিকেরা যেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁদের দেখেই তেড়ে আসেন স্থানীয়রা। মারমুখী জনতার চাপে শেষমেশ ঘটনাস্থল ছাড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। তখন তাঁদের ঘিরে ধরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই হামলার ঘটনায় তিন ইডি আধিকারিক আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।