যা আশঙ্কা করা গিয়েছিল সেটাই হল। শনিবারের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে একটি ক্যাচ নিতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। সেই চোট অন্তত তিন সপ্তাহের জন্য ক্রিকেট থেকে ছিটকে দিল তাঁকে। তার বেশি সময়ও মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে তিনি খেলতে পারবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়েই তাঁকে এক দিনের দলের সহ-অধিনায়ক পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেই সিরিজ়ের শেষ ম্যাচে চোট পেলেন তিনি। বোর্ডের এক কর্তা ‘পিটিআই’-কে বলেছেন, “ম্যাচের সময়েই শ্রেয়সকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ওর পাঁজরে একটা বড় ঝাঁকুনি লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত তিন সপ্তাহ ওকে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে।”
ওই কর্তা আরও বলেন, “চোট সারানোর পর আগে বোর্ডের উৎকর্ষ কেন্দ্রে যেতে হবে। সেরে উঠতে আরও সময় লাগবে কি না তা বোঝা যাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেখার পরেই। যদি হাড়ে চিড় ধরে থাকে তা হলে সারতে আরও সময় লাগতে পারে।”
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে কি তিনি খেলতে পারবেন? ওই কর্তা বলেন, “এখনই তা বলা যাচ্ছে না। যদি সারতে তিন সপ্তাহ লাগে তা হলে ৩০ নভেম্বর প্রথম ম্যাচের ঠিক আগে ও সেরে উঠতে পারে।” শ্রেয়স এই মুহূর্তে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দলে নেই। খেলেন শুধু এক দিনের ক্রিকেটেই। সম্প্রতি লাল বলের ক্রিকেট থেকে ছ’মাসের বিরতি নিয়েছেন। এই চোট তাঁকে আরও সমস্যায় ফেলে দিল।
তখন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ৩৪তম ওভার চলছিল। শর্ট থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং করছিলেন শ্রেয়স। হর্ষিত রানার একটি বল আলেক্স ক্যারের ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায়। শ্রেয়স দৌড়তে থাকেন ক্যাচ ধরবেন বলে। পিছনে ছুটতে ছুটতে তিনি ক্যাচটি ধরেও ফেলেন। তবে টাল সামলাতে না পেরে খারাপ ভাবে মাটিতে পড়েন। তাঁর কোমর মাটিতে আছড়ে পড়ে।
ব্যথা যে লেগেছে সেটা বোঝা যাচ্ছিল শ্রেয়সের মুখ দেখেই। উৎসব করা তো দূর, উঠতেই পারছিলেন না তিনি। সতীর্থেরা ঘিরে ধরেন তাঁকে। ছুটে আসেন চিকিৎসক কমলেশ জৈনও। কোনও মতে চিকিৎসক এবং সাপোর্ট স্টাফদের কাঁধে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ান শ্রেয়স। ধীরে ধীরে মাঠ ছাড়েন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে স্ক্যান করা হয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছিল।
বোর্ড জানিয়েছিল, শ্রেয়সের পাঁজরের বাঁ দিকে চোট লেগেছে। হাসপাতালে বাকি পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। বাকি সময়ে আর ফিল্ডিং করতে নামেননি তিনি। পরিবর্ত হিসাবে যশস্বী জয়সওয়াল ফিল্ডিং করেন। শ্রেয়স ব্যাট করতে নামার আগেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি ভারতকে জিতিয়ে দেন।

