আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা ২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরও এক বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ফ্লোরিডায় তাঁর গল্ফ ক্লাবে গুলি চলেছে রবিবার। ট্রাম্প নিরাপদেই রয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস। ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে তারাই।
এর আগে পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্পের সভায় হামলা হয়েছিল। বন্দুক হাতে ট্রাম্পের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন এক যুবক। গুলিও চালিয়েছিলেন। অল্পের জন্য সে বার রক্ষা পেয়েছিলেন ট্রাম্প। গুলি তাঁর কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছিল। কান থেকে রক্তও ঝরেছিল বিস্তর। রবিবার আবার ট্রাম্পের উপর হামলার চেষ্টা হল। যদিও এ বার গুলি চললেও ট্রাম্প নিরাপদেই ছিলেন।
রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টো নাগাদ (ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা) ফ্লোরিডায় গল্ফ ক্লাবে অনুশীলন করছিলেন ট্রাম্প। সে সময় আচমকা সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে ওঠেন সিক্রেট সার্ভিসের কর্তারা। আগ্নেয়াস্ত্র-হাতে ক্লাবের সামনে এক প্রৌঢ়কে দেখেন তাঁরা। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান প্রৌঢ়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এফবিআই জানিয়েছে, ধৃতের নাম রায়ান ওয়েসলি রাউথ, বয়স ৫৮ বছর। গল্ফ ক্লাবে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ছিল ২৭৫ থেকে ৪৫০ মিটার। অন্তত চার বার তিনি গুলি চালিয়েছিলেন। তবে হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ঘটনাটিকে ‘হত্যার চেষ্টা’ হিসাবেই দেখছেন তাঁরা। এই ঘটনার পরই ট্রাম্প ইমেলে বার্তা দেন তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে। জানান, তিনি সুস্থ আছেন। এই ধরনের চক্রান্তের কাছে তিনি ‘মাথা নত’ করবেন না বলেও জানান।
হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের উপর হামলার চেষ্টার ঘটনাটি শুনেছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিরাপদ আছেন শুনে তাঁরা চিন্তামুক্ত হয়েছেন। বাইডেন পৃথক বিবৃতি বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় রাজনৈতিক হিংসার কোনও জায়গা নেই।’’