নাইজেরিয়ার পরে গ্রিসে (Greece) ভয়াবহ জাহাজ ডুবি। দুর্ঘটনায় সলিল সমাধি হয়েছে ৭৯ জনের। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১০৪ জনকে। ডুবুরি নামিয়ে একটানা উদ্ধারকাজ চলছে। ছোট আকারের জাহাজটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান, অতিরিক্ত যাত্রী তোলাতেই গ্রিস উপকূলে সমুদ্রে ডুবে যায় রিফিউজি ভরতি ওই জাহাজটি।PauseUnmute
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের দাবি, দক্ষিণ গ্রিস উপকূলের শহর পাইলোসের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় মঙ্গলবার গভীর রাতে জাহাজটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল। একটি উপকূলরক্ষী জাহাজ একাধিক দেশের উদবাস্তু ভরতি বিপজ্জনক জাহাজটিকে সাহায্যের প্রস্তাবও দেয়, যদিও তা নিতে অস্বীকার করে পরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজটি। ঘণ্টা কয়েক বাদেই জাহাজটি ডুবে যায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্ধারকারী দলের দাবি, ৭৫০ জন যাত্রী ছিলেন জাহাজে। যদিও রাষ্ট্রসংঘের উদবাস্তু পরিষদ দাবি করেছে, যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪০০। ফলে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত উদবাস্তুরা মিশর, সিরিয়া এবং পাকিস্তানের অধিবাসী বলেই জানা গিয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি ভয়ংকর নৌদুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল গ্রিস। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯৬ জনের।
প্রসঙ্গত, গতকালই আফ্রিকার নাইজেরিয়ায় বরযাত্রী ভরতি একটি নৌকো নদীতে ডুবে যায়। মৃত্যু হয় ১০৩ জনের। দুর্ঘটনার একাধিক কারণ অনুমান করা হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী, নিরাপত্তার ঘাটতি, বর্ষার মরসুমে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণেও নৌকাডুবি হতে পারে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০০ জনকে।