নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে ২ দিনের ইডি হেফাজত হল হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ সিএমএম আদালতের ওই নির্দেশের পর সোমবার ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। ইডির তরফে বারবার আদালতে বলা হয়ে এই তদন্ত সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই নষ্ট করে দিচ্ছে এই দুর্নীতি। তাই শান্তনুকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজত দেওয়া হোক।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধরা পড়ার পরই বেরিয়ে আসছে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল সাম্রাজ্যের হদিস। তাঁকে এবার হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা ইডির। বলাগড় বিশাল একটি রিসর্ট রয়েছে শান্তনুর। সেই রিসর্টে আনাগোনা ছিল অনেকের। বারুইপাড়ায় ধাবা, হোম স্টে রয়েছে শান্তনুর। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। জমি পেতে এলাকার মানুষের উপরে চাপ দিতেন শান্তুনু। ধাবার জন্য ৪টি পরিবারের কাছ থেকে জমি নেন শান্তনু। পুনর্বাসন দেওয়ার কথা থাকলেও সেই কথা রাখেননি শান্তনু। এমনটাই অভিযোগ জমি দাতাদের।
ইডির তদন্ত উঠে আসছে শান্তনুর কথায় ১৯ কোটি টাকা তাপস মণ্ডল কুন্তলকে দিয়েছিল। আজ আদালতে ওই দাবি করে ইডি। রিসর্ট, হোম স্টে খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টায় ছিল শান্তনু। পাশাপাশি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে লিঙ্ক ম্যান হিসেবে কাজ করতেন।
কত সম্পত্তি করেছে শান্তনু? হুগলির জিরাটে বাড়ির কাছে ধাবা ও হোম স্টে রয়েছে শান্তনুর। বারুইপাড়ায় রেস্তঁরা ও একটি ধাবা রয়েছে। ২০২১ সালে ওই ধাবা তৈরি হয়। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বিশাল রেস্তঁরা রয়েছে। নামে বেনামে বহু জমি রয়েছে। রাজারহাট নিউটাউনে রয়েছে ফ্ল্যাট ও জমি।
ইডির জানার বিষয় ছিল, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেই খোঁজ করতে গিয়েই দেখা গিয়েছে কোথাও রেস্তঁরা, কোথায় হোমস্টে হিসেবে বিনিয়োগ করা হয়েছে। বলাগড়ে গঙ্গার ধারেই একটি বিশাল রিসর্ট রয়েছে শান্তনুর। বলাগড় স্টেশন ও জিরাটে বহু জমি রয়েছে শান্তনুর। চঁুচুড়ায় ফ্ল্যাট রয়েছে, রয়েছে বেশ কয়েকটি দামী গাড়ি। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্যুত্ দফতরের কর্মী ও তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছে ওই বিপুল টাকা এল কোথা থেকে? সেই তদন্ত করতে গিয়েই সবকিছু বেরিয়ে আসছে।