প্রত্যাবর্তনে চার উইকেট শাহবাজ়ের, জোড়া শিকার শামির, গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা, রঞ্জির ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ অসমে

বেশ কয়েক মাস পর ক্রিকেটে ফিরলেও ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। বল হাতে সেটা পুষিয়ে দিলেন শাহবাজ়‌ আহমেদ। গুজরাতের বিরুদ্ধে রবিবার চার উইকেট নিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শেষে অবস্থা যা, তাতে প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারে বাংলা। সরাসরি জয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রথম ইনিংসে বাংলার ২৭৯ রানের জবাবে গুজরাত ১০৭/৭।

রবিবার ২৪৪/৭ নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলা। আশা ছিল সুমন্ত গুপ্তের উপরে। তিনি শতরান পাবেন কি না সে দিকে চোখ ছিল অনেকের। তবে সুমন্ত ফিরে যান ৬৩ রানেই। প্রিয়জিৎসিংহ জাডেজার বলে তিনি ক্যাচ দেন উর্বিল পটেলের হাতে। কিছু ক্ষণ পরে আকাশদীপ (২৯) ফিরে যেতেই বাংলার ৩০০ পেরনোর সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। মহম্মদ শামি অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। ২৭৯ রানে শেষ হয় বাংলার প্রথম ইনিংস।

উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার বোলারেরা ভাল বল করেছিলেন। তবে গুজরাত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে বাংলার বোলারেরা কী করেন সে দিকে অনেকেরই চোখ ছিল। হতাশ করেননি কেউই। অভিষেক দেসাইকে (০) ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন শামিই। এর পর আর্য দেসাইকে তুলে নেন আকাশদীপ। তিনে নামা সিদ্ধার্থ দেসাইকেও ফেরান শামি।

এর পর ইডেনে শুধুই ‘শাহবাজ়‌-শো’। তাঁর বলে একে একে ফেরেন উমং, জয়মীত পটেল, উর্বিল পটেল এবং বিশাল জয়সওয়াল। তবে নড়ানো যায়নি মনন হিংরাজিয়াকে। দিনের শেষে ১৬৩ বল খেলে ৪১ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গে চিন্তন গাজা (অপরাজিত ৪)। এখনও বাংলার থেকে ১৭২ রানে পিছিয়ে গুজরাত। সোমবার শুরুতেই বাকি তিনটি উইকেট ফেলে দিতে পারলে বাংলার সামনে জয়ের পথ আরও মসৃণ হবে।

এ দিকে, রঞ্জিতে সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ দেখা গেল রবিবার। চারটি ইনিংস মিলিয়ে ৯০ ওভারেই শেষ হয়ে গেল অসম বনাম সার্ভিসেস ম্যাচ। দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই খেলা শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ দেড় দিনও গড়াল না ম্যাচ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শনিবারই ১০৩ রানে অসম অলআউট হয়ে গিয়েছিল। সার্ভিসেসের দুই বোলার অর্জুন শর্মা এবং মোহিত জাংরা হ্যাটট্রিক করেছিলেন। জবাবে সার্ভিসেসকে ১০৮ রানে অলআউট করে দেয় অসম। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শনিবারই অসমের পাঁচটি উইকেট পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। জয়ের জন্য ৭১ রান ১৪ ওভারেই তুলে নেয় সার্ভিসেস। মোট ৫৪০ বল খেলা হয়েছে। কোনও ইনিংসই ২৩ ওভারের বেশি টেকেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.