পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে আইনি ঝামেলা থেকে মুক্তি পেলেন শাহরুখ খান। গুজরাত হাইকোর্টের রায়ে বড়সড় স্বস্তিতে বাদশাহ। শাহরুখের নামের দায়ের হওয়া ফৌজদারী মামলা খারিজ হল হাইকোর্ট। ২০১৭ সালে গুজরাতের ভাদোদারা রেলওয়ে স্টেশনে ‘রইস’ ছবির প্রচারের সময় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপরই ভাদোদারার নিম্ন আদালতে বলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছিল মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা।
শাহরুখের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অভিনেতার আইনজীবীরা গুজরাত হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন, অবশেষে সেই রায় জানাল আদালত।
ঠিক কী হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি? ‘রইস’ ছবির প্রচারে অভিনব প্রচার কৌশল বেছে নিয়েছিলেন শাহরুখ খান। তবে সেই প্রচারের ফাঁকে যে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি শাহরুখ খান। ট্রেনে চেপে ১৭ ঘন্টায় মুম্বই থেকে দিল্লি পৌঁছেছিলেন শাহরুখ। সেই রেল সফরে একাধিক স্টেশনে ছবির প্রচার সারেন তারকা। এই সফর চলাকালীন ভাদোদারা স্টেশনের মধ্যে দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন ‘রইস’ শাহরুখ, তখন সেখানে এক্কেবারে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি-চার্জ পর্যন্ত করতে হয় পুলিশকে। তখনই প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান ফরিদ খান নামের এক ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াহলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এরপর রেল পুলিশে শাহরুখের নামে অভিযোগ করেন মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ , ১৪৯ , ৪২৭ , ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে৷ দাঙ্গা বাধানো , অবৈধ জমায়েত , সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয় এই বলি তারকার বিরুদ্ধে। এই সব অভিযোগ থেকেই এদিন রেহাই পেলেন অভিনেতা।
রাহুল ঢোলাকিয়া পরিচালিত রইস ছবিতে শাহরুখ ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন পাক অভিনেত্রী মাহিরা খান ও নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।