মোদীর হাফ ডজন সভার পরে আসছেন শাহ, প্রথম নয়, দ্বিতীয় দফার আসন থেকেই প্রচার শুরু বুধে

লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর রাজ্যে দু’টি জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোট ঘোষণার আগেও তিনি চারটি জনসভা করেছেন বাংলায়। তবে তাঁর ডেপুটি অমিত শাহ এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ভোটপ্রচারে আসেননি। বিজেপি সূত্রে খবর, বুধবার বাংলায় প্রথম জনসভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আসন বালুরঘাট থেকেই তিনি বাংলায় ভোটপ্রচার শুরু করবেন। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বুনিয়াদপুর বিধানসভার পত্রায় সভা করবেন শাহ। অসম থেকে বাংলায় এসে ওই সভা সেরে তিনি যাবেন বিহারের গয়ায়।

এর আগে গত নভেম্বর, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বাংলায় এসেছিলেন শাহ। কিন্তু সভা করেননি। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে আসার কথা থাকলেও তা শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারির শেষ দিনেও রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বাতিল হয় সেই সূচি। শেষ পর্যন্ত বুধবার সুকান্তের লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম প্রচারসভা করবেন শাহ। সেখানে দ্বিতীয় দফায়, অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল ভোট রয়েছে।

কেন ফেব্রুয়ারির শাহের সভা বাতিল করা হয়েছিল, তা নিয়ে যদিও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি বাংলার বিজেপি নেতারা। তবে বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরেই রাজ্য সফর স্থগিত রেখেছিলেন শাহ। পাশাপাশি, বিজেপি সূত্রে এ-ও খবর ছিল যে, রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও চাইছিলেন না, যে ওই সময় বঙ্গ সফরে কোনও কেন্দ্রীয় নেতা আসুন। সন্দেশখালির আন্দোলনকে বৃহত্তর করে তুলতে প্রায় প্রতি দিনই রাস্তায় নামছিলেন তাঁরা। তাই ওই সময় শাহ রাজ্য সফরে এলে তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যেতে হত রাজ্য নেতৃত্বকে। ফলে তাঁদের আন্দোলনে ভাটা পড়তে পারত।

অন্য দিকে, জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর সেখানে না গিয়ে মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে আসার কথা ছিল শাহের। মায়াপুরে কৃষ্ণের মন্দির দর্শনে যাবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। মন্দির দর্শনের পরে রানাঘাট-সহ আশপাশের কয়েকটি লোকসভা এলাকার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথাও ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.