০১১৮
দেশে তৃতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সেমি-হাইস্পিড ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে গেল। শুক্রবার ট্রেনটির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
০২১৮
গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে মুম্বই পর্যন্ত ছুটবে এই ট্রেন। আগের দু’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তুলনায় এই নতুন ট্রেনটি প্রযুক্তিগত ভাবে অনেকটাই উন্নত এবং হালকা বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। ফলে এই ট্রেনের গতিও অনেক বেশি।
০৩১৮
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গান্ধীনগর ক্যাপিটাল রেলওয়ে স্টেশন থেকে তৃতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। ট্রেনে চড়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।
০৪১৮
প্রধানমন্ত্রী প্ল্যাটফর্ম থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করেন। তিনি ওই ট্রেনে গান্ধীনগর থেকে আমদাবাদের কালুপুর স্টেশন পর্যন্ত গিয়েছেন।
০৫১৮
এই মুহূর্তে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে দেশের দ্রুততম ট্রেন বলা হয়। দিল্লি থেকে বারাণসী রুটে এই ট্রেন প্রথম চালু হয়েছিল ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।
০৬১৮
দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি চালু হয় ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর। ট্রেনটির যাত্রাপথ নয়াদিল্লি থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরা পর্যন্ত।
০৭১৮
রেল আধিকারিকদের দাবি, নতুন বন্দে ভারত ট্রেনে চড়লে যাত্রীরা বিমানে ওড়ার মতো অনুভূতি পাবেন। ট্রেনটির গতি এতই বেশি যে, তাকে ট্রেন বলে মনেই হবে না।
০৮১৮
১৬ কামরার এই ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। মাত্র ১৪০ সেকেন্ডে এই গতিতে পৌঁছতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে যাত্রীদের আরামের ব্যবস্থাও আগের দু’টি ট্রেনের চেয়ে উন্নত করা হয়েছে।
০৯১৮
এই ট্রেনে রয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলে দাবি করেছে রেল। দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ কিংবা অন্য বিপদ এড়ানো যেতে পারে ‘কবচ’ প্রযুক্তির সাহায্যে।
১০১৮
ট্রেনের প্রতি কামরায় রয়েছে যাত্রীদের বিনোদনের ব্যবস্থা। যাত্রীদের তথ্যও রাখা থাকবে কামরাগুলিতে। এ ছাড়া, ট্রেনের শীতাতপ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকবে কোচ কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
১১১৮
ট্রেনের দরজাগুলি স্পর্শ ছাড়াই খোলা ও বন্ধের ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেনের আসন ঘোরানো যাবে ইচ্ছেমতো।
১২১৮
ট্রেনটির শৌচাগারগুলিতে বিমানের মতো ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য থাকবে আলাদা শৌচাগার। দৃষ্টিহীন যাত্রীদের কথা ভেবে এই ট্রেনের আসনের পাশে ব্রেইলে লেখা হয়েছে আসন সংখ্যা।
১৩১৮
বন্যার জলে যাতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য ট্রেনে রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ট্রেনের নীচে থাকা যন্ত্রপাতিগুলি বন্যার ফলে জমা জলেও সুরক্ষিত থাকবে।
১৪১৮
গান্ধীনগর-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস জনসাধারণের জন্য চালু হবে ১ অক্টোবর থেকে। সপ্তাহে ছ’দিন এই ট্রেন চলবে। রবিবার বন্ধ থাকবে পরিষেবা।
১৫১৮
মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়বে প্রতি দিন সকাল ৬.১০ মিনিটে। গান্ধীনগর পৌঁছবে বেলা সাড়ে ১২টায়। আবার গান্ধীনগর থেকে ট্রেন মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে প্রতি দিন দুপুর ২.০৫ মিনিটে। ট্রেনটি মুম্বই পৌঁছবে রাত ৮.৩৫ মিনিটে।
১৬১৮
গান্ধীনগর-মুম্বই এবং মুম্বই-গান্ধীনগর, উভয় যাত্রাপথে সুরত, বরোদা এবং আমদাবাদে থামবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
১৭১৮
এই ট্রেনের ভাড়া সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছে ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এগজিকিউটিভ চেয়ার কারের ভাড়া মাথাপিছু ২ হাজার ৫০৫ টাকা। সাধারণ চেয়ার কারের ভাড়া ১ হাজার ৩৮৫ টাকা।
১৮১৮
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য মুম্বই-আমদাবাদ শতাব্দী এক্সপ্রেসের সময়সীমা বদল করা হয়েছে।