অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনের বোলপুরের ফ্ল্যাটে এ বার হানা দিল সিবিআই। সোমবার বিকেলে বোলপুরের কাশীপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় সহগলের ফ্ল্যাটে যান দুই সিবিআই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক ব্যাঙ্ককর্মী। পরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কেও যান সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, সহগলের স্ত্রী রয়েছেন ওই ফ্ল্যাটে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এলাকায় সহগল ববিন নামে পরিচিত। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী ছিলেন সহগল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে অনুব্রতের আগে থেকেই তিনি সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর হিসাব বহির্ভূত প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছেন তদন্তকারীরা।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একাংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরে সাতটি ব্যাঙ্কে মোট ১৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সহগলের নামে। সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্যই সিবিআই আধিকারিকেরা তাঁর ফ্ল্যাটে যান। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সহগলের স্ত্রীকে। যে সব ব্যাঙ্কে সহগলের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, আগেই তার ম্যানেজারদের চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের ‘শাওন ধারা’ আবাসনে সহগলের নামে দু’টি ফ্ল্যাট আছে। তার মধ্যে একটি দু’কামরার ফ্ল্যাট, অন্যটি তিন কামরার বলে জানিয়েছেন ওই ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত এক কর্মী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানেও সহগলের দু’টি গাড়ি রয়েছে, যেগুলি অনুব্রত ব্যবহার করতেন। লালবাতি বিতর্কের আগে ওই গাড়ি দু’টি এখানে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, গরু পাচার মামলা শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা প্রায় যাতায়াত করতেন সহগলের এই ফ্ল্যাটে। এই ‘শাওন ধারা’ ফ্ল্যাটের ঠিক উল্টো দিকেই ১০ কাঠা জায়গা ঘেরা অবস্থায় রয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা দাবি করেছেন, এই জায়গাটিও সহগলের নামে রয়েছে।