নিত্য ট্রেন লেট। শিয়ালদহ মেইন ও নর্থ শাখার যাত্রীদের হয়রানি যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপ ও ডাউন লাইনে দমদম-বিধাননগরের দূরত্ব ৩ কিমি। মেরেকেটে ৭ মিনিট লাগার কথা। সেখানে প্রায় প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে সময় লাগছে। দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে ট্রেন। এমনকি কখনও কখনও নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পরেও পৌঁছচ্ছে ট্রেন।
অফিস টাইমে তাড়ার সময় এভাবে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখায় চূড়ান্ত দুর্ভোগের মধ্য়ে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। দমদম-বিধাননগরের মতো একইভাবে বিধাননগর থেকে শিয়ালদহ ৪ কিমি পথ অতিক্রম করতেও মাঝে মাঝে সময় নিচ্ছে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। বনগাঁ, বারাসত, দত্তপুকুর, ডানকুনি, রানাঘাট , কৃষ্ণনগর লোকালের যাত্রীদের একারণে প্রায়ই দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্ল্যাটফর্ম সংস্কার থেকে ওভারহেড তারে কাজ প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে মার্চ থেকে জুন- এই ৪ মাসে কমপক্ষে ২৬ দিন শিয়ালদহ মেইন ও নর্থ শাখায় একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল এবং বহু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। কিন্তু তারপেও ভোগান্তি না কমায় ক্ষোভে ফুঁসছেন নিত্যযাত্রীরা।
যদিও রেলকর্তাদের দাবি, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে। তাঁর কথায়, দমদম, বিধাননগর এবং শিয়ালদহ- এই ৩টি স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সব ট্রেন দাঁড়ায়। এই ৩টি স্টেশনে ট্রেন ঢোকা ও বেরনোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, তবে খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রও। তিনি বলেন, “আগের থেকে কিছুটা সময় বেশি লাগছে ঠিকই, তবে আশা করা যাচ্ছে, ১ জুলাই থেকে পরিষেবার অনেকটা উন্নতি ঘটবে।” প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে শিয়ালদহ মেইন এবং নর্থ শাখার সমস্ত লোকাল ট্রেনে ১২ বগির কামরা থাকার কথা। এখন ১ জুলাইয়ের দিকে তাকিয়েই নিত্যযাত্রীরা। ১ জুলাই থেকে ১২ বগির ট্রেনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য মেলার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন লেটের সমস্যা মেটে কিনা, সেটাই দেখার।