SC on Freebies: ‘দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং জনকল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে’, ফ্রি-এর প্রতিশ্রুতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ SC-র

ভোটারদের মন জয় করতে একেক সময় কী না কী প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিনামূল্যের রেশন, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে ফোন, ল্যাপটপ, বাইক… এরকম উদাহরণ অনেক আছে। রাজনৈতিক দলগুলির এই ‘অভ্যাস’কে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করলেন। শীর্ষ আদালতের কথায়, নির্বাচনী প্রচারে নেমে রাজনৈতিক দলগুলির বিনামূল্যের এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রবণতা একটি গুরুতর সমস্যা। শীর্ষ আদালতের যুক্তি, বিনামূল্যের এই প্রতিশ্রুতির কারণে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় সম্প্রতি এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে দাবি করেন, রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে বিনামূল্যের প্রতিশ্রুতি দেয় তা রুখতে নির্দেশ দেওয়া উচিত। তিনি আর্জি রাখেন যে এই ধরনের বিনামূল্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা উচিত। এই মামলার শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা এবং বিচারপতি কৃষ্ণা কুমারীর বেঞ্চে।

শুনানি চলাকালীন বৃহস্পতিবার প্রধান বিতারপতি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিনামূল্যে পরিষেবা দানের বিষয়টিকে সমস্যা বলে কেউ গণ্যই করে না। অথচ, এটা একটা গুরুতর বিষয়। যারা এর থেকে সুবিধা পাচ্ছে তারাও এটা চাইছে। এর প্রেক্ষিতে অনেকেই বলেন যে তারা কর দিচ্ছেন। সেই করের টাকা উন্নয়নমূলক প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতে হবে। এই আবহে এটা একটা গুরুতর সমস্যা। তাই উভয় পক্ষের বক্তব্যই কমিটিকে শুনতে হবে। ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে দারিদ্র্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারেরও ক্ষুধার্তদের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।’

আদালতের তরফে আরও বলা হয়, ‘সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থ-সামাজিক কল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলিকে বিনামূল্যের পরিষেবা বলা যায় না। সমাজের কিছু মানুষকে বিনামূল্যে বিদ্যুত, জল এবং পরিবহণের সুবিধা দেওয়াটা আবশ্যক।’ এদিকে শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘আমার প্রস্তাব এই বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হোক। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের একজন সচিব, সব রাজ্য সরকারের সচিবরা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধি, নীতি আয়োগের প্রতিনিধি, অর্থ কমিশনের সদস্য, একজন করদাতা।’ আগামী ১৭ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.