নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে পাঁচ ভারতীয়ের। তাঁদের মধ্যে অন্যতম গাজিপুরের সোনু জয়সওয়াল। তিনি এবং তাঁর আরও তিন বন্ধু নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আর ঘরে ফেরা হল না।
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার চক জিনাব গ্রামের বাসিন্দা সোনু। একটি মদের দোকান চালাতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও তিন বন্ধু নেপালে গিয়েছিলেন। সোনুর নেপালযাত্রার নেপথ্যে ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল।
চক জিনাব গ্রামের প্রধান বিজয় জয়সওয়াল জানান, সম্প্রতি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন সোনুর স্ত্রী। মাস ছয়েক আগে তাঁর কোল আলো করে এসেছে সেই পুত্র। সোনুর দুই মেয়ে ছিল। তৃতীয় বার পুত্র সন্তান কামনা করেছিলেন। প্রতিজ্ঞা ছিল, পুত্র সন্তান ঘরে এলে পশুপতিনাথের মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসবেন। সেই মতোই বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন হিমালয়ের উদ্দেশে।
গত ১০ জানুয়ারি নেপালের উদ্দেশে রওনা দেন সোনুরা। মঙ্গলবারই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নিয়তি তাঁর জন্য অন্য কিছু লিখেছিল, জানান গ্রামপ্রধান। তাঁর কথায়, ‘‘সোনুদের অন্য একটি বাড়ি আছে। ওর স্ত্রী এবং সন্তানেরা সেখানেই রয়েছেন। তাঁদের এখনও এই দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়নি।’’
সোনুর সঙ্গে আরও যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন, অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২) এবং অনিল কুমার রাজভর (২৭)। কাঠমাণ্ডু থেকে পুজো দিয়ে পোখরায় কিছু দিন ঘোরার পরিকল্পনা ছিল সোনুদের। সেই কারণেই পোখরা যাচ্ছিলেন।
রবিবার পোখরা বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ভেঙে পড়ে বিমান। ৭২ জন বিমানে ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৬৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বিমানে পাঁচ ভারতীয় ছিলেন। সোনুরা চার জন ছাড়া পঞ্চম ব্যক্তিকে সঞ্জয় জয়সওয়াল নামে শনাক্ত করা গিয়েছে।