ছেলে তখন মধ্যমণি। সতীর্থদের মাঝে দাঁড়িয়ে অনিল কুম্বলের হাত থেকে টেস্ট অভিষেকের টুপি নিলেন সরফরাজ় খান। ছেলের কেরিয়ারের সব থেকে বড় মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন বাবা-মা। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে দেখলেন তাঁরা। নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না সরফরাজ়ের বাবা নওশাদ। কেঁদে ফেলেন তিনি।
সরফরাজ়কে টুপি নিতে দেখে প্রথমে হাসছিলেন নওশাদ। তার পরেই কেঁদে ফেলেন তিনি। জামা দিয়ে চোখ ঢাকেন। টুপি পেয়ে প্রথমেই বাবার কাছে যান সরফরাজ়। তাঁকে টুপি দেখান। ছেলে জড়িয়ে ধরেন বাবা। বোঝা যাচ্ছিল, এত বছরের অপেক্ষার অবসানের পরে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না তাঁরা। চোখের জল বাঁধ মানছিল না নওশাদের। ছেলের টেস্ট টুপিতেও চুমু খান তিনি। বাবার পরে মাকেও জড়িয়ে ধরেন সরফরাজ়।
ইংল্যান্ড সিরিজ়ে সুযোগ পেলেও প্রথম দুই টেস্টের দলে জায়গা পাননি সরফরাজ়। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে যে ভারতীয় জার্সিতে তাঁর অভিষেক হতে চলেছে তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। কারণ, শ্রেয়স আয়ারকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় টেস্টের পরে জানা যায় লোকেশ রাহুল খেলতে পারবেন না। তার পরেই সরফরাজের অভিষেক নিশ্চিত হয়ে যায়।
বার বার জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে কিছুটা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন সরফরাজ়। প্রকাশ্যে মুখ খুলতেন তিনি। যদিও প্রথম বার ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে খুশি চাপতে পারেননি সরফরাজ। দলে সুযোগ পাওয়ার খবর পেয়ে মুম্বইয়ের ব্যাটার সমাজমাধ্যমে বাবার সঙ্গে খুশির মুহূর্তের একটি ছবি দিয়েছিলেন। সঙ্গে ‘চক্ দে ইন্ডিয়া’ সিনেমার একটি জনপ্রিয় গান জুড়ে দিয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমে তাঁর পোস্ট ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। সমাজমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন সরফরাজের বাবাও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত তাঁর বড় ছেলের উপর ভরসা রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।