সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan) ও ধারাবাহিকতা সমার্থক। ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরের পর বছর আগুনে ফর্মে থেকেই সরফরাজের জাতীয় দলের দরজা খুলে গিয়েছিল। সদ্য়সমাপ্ত ভারত-বাংলাদেশ সিরিজেও সরফরাজের নাম ছিল গৌতম গম্ভীরের স্কোয়াডে। কিন্তু বিসিসিআই তাঁকে শেষ মুহূর্তে পাঠিয়ে দেয় ইরানি কাপ (Irani Cup) খেলতে। অজিঙ্কা রাহানের মুম্বইয়ের হয়ে অবশিষ্ট একাদশের বিরুদ্ধে সরফরাজের বিস্ফোরণ দেখল লখনউয়ের একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ইরানি কাপের দ্বিতীয় দিনে মুম্বই ৯ উইকেট হারিয়ে ৫৩৬ রান তুলেছে। যার মধ্য়ে সরফরাজের একারই আপরাজিত ২২১!
২১ বছর ৬৩ দিনে ইরানি কাপে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। সবচেয়ে কম বয়সে এই ঐতিহ্য়বাহী টুর্নামেন্টে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে টেস্টে রোহিত শর্মার ওপেনিং পার্টনারের। আর চারে থাকবেন যশস্বী। তিনি বুধবার ২৬ বছর ৩৪৬ দিনে এই রেকর্ড করলেন। সরফরাজ চতুর্থ-কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে ইরানিতে দ্বি-শতরান করলেন। এই তালিকায় দুয়ে রয়েছেন প্রবীণ আমরে (২২ বছর ৮০ দিন) এবং তিনে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথ (২৫ বছর ২৫৫ দিন)।
৬৫ বছরের ইরানি কাপের ইতিহাসে সরফরাজ মুম্বইয়ের প্রথম ব্য়াটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। যা সুনীল গাভাসকর থেকে শুরু থেকে সচিন তেন্ডুলকর বা রোহিত শর্মা কেউ পারেননি কখনও। সরফরাজের এই ডাবল সেঞ্চুরি ইরানি কাপে মুম্বইয়ের ব্যাটার হিসেবে সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর। ১৯৭২ সালে রামনাথ পার্কারের এর আগে ছিল ১৯৫ রানের ইনিংস। তাঁকেই টপকে গেলেন সরফরাজ। সচিন, রাহুল দ্রাবিড়, যশস্বীর মতো সরফরাজও এখন সেই এলিট ক্লাবে চলে এলেন, যেখানে আসতে গেলে ইরানিতে দু’টি সেঞ্চুরি করতে হয়। সরফরাজ আবার বুঝিয়ে দিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে উজ্জ্বলতম প্রতিভাদেরই একজন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪টি অর্ধশতক ও ১৫টি সেঞ্চুরি করে ফেললেন।
সরফরাজ ২৭৬ বলে ২২১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ২৫টি চার ও ৪ ছক্কায় অবশিষ্ট একাদশের বোলারদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছেন। অধিনায়ক রাহানের সঙ্গে সরফরাজের ১৩১ রানের যুগলবন্দিও এদিন কথা বলেছে। মাত্র ৩ রানের জন্য় রাহানে সেঞ্চুরি পাননি এদিন। যশ দয়ালের বলে ধ্রুব জুরেলের হাতে ক্য়াচ তুলে দেন রাহানে।