সাঁতুড়ি ব্লকের গড়শিকা পঞ্চায়েতের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মূলত আজ থেকে পুরুলিয়া জেলার তিনটি ব্লক সাঁতুড়ি, জয়পুর ও পুরুলিয়া ১ ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিদর্শন শুরু করল ২ সদস্যের এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি। ন্যাশনাল লেভেল মনিটর পদের ওই দুই সদস্য হলেন ধর্মা চন্দ্র রাই ও চন্দন সিং। আজ সকালে এই পুরুলিয়া সার্কিট হাউস থেকে সাঁতুড়ি ব্লকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। প্রথমে গড়শিকা পঞ্চায়েতে যান তাঁরা।
বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে এই পঞ্চায়েতে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম, বৃদ্ধ পেনশন, কৃষি ও সেচ সহ একগুচ্ছ প্রকল্প খতিয়ে দেখে এই প্রতিনিধি দলটি। প্রধান সহ সচিব ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় কিছু মানুষের দাবি, তারা তৃণমূল কংগ্রেস দল করার জন্য আবাস যোজনার তালিকা থেকে পক্ষপাতিত্ব করে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্য ধর্মা চন্দ্র রাই বলেন, “এখানে রাজনীতির কোনও প্রশ্ন আসে না। সরকারিভাবে এই যোজনা পাওয়ার অধিকার তারাই পাবেন। অনুমাপক অনুযায়ী তালিকা হয়েছে।”
গড়শিকা পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণা মণ্ডল বলেন, “বিধি মেনে সব কিছুই হয়েছে। গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কিছু তৃণমূলের সমর্থক ঝামেলার চেষ্টা করেন। আজ কেন্দ্রের পরিদর্শনকারীরা আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন।”
দুপুরে গড়শিকা পঞ্চায়েত থেকে সাঁতুড়ি পঞ্চায়েতে যান কেন্দ্রীয় দলটি। সেখানেই বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বিজেপির রঘুনাথপুর বিধানসভার সহ আহ্বায়ক অরূপ আচার্য বলেন, “এই ব্লকে আমাদের চারটি পঞ্চায়েত দখলে রয়েছে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সেখানে কেন্দ্রীয় দলকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে তৃণমূলের আসল চিত্র দেখতে গেলে বালিতোড়া, মুরাড্ডিতে যেতে হবে। দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করেছে তৃণমূল।”
আজ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলার তিনটি ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করবেন এই প্রতিনিধি দলটি। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার গ্রামগুলিতে পরিদর্শন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে বাস্তব চিত্র কেন্দ্র সরকারের কাছে তুলে ধরবেন তাঁরা বলে জানান দলের অন্যতম সদস্য ধর্মা চন্দ্র রাই।