সন্দেশখালি মহিলাদের জন্য এবার রাজভবনে পিস হোম তৈরির উদ্যোগ রাজ্যপালের। সোমবার কলকাতা ঢুকেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের। সন্দেশখালির আক্রান্ত মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে রাজভবনে এসে থাকতে পারেন। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাজভবনের তরফে। খবর সূত্রের। রাজ্যপাল মনে করেন যে এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধি এটাই রাজ্যপালের মূল লক্ষ্যের বিষয়।
সন্দেশখালি আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা রাজ্যের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যপাল সচেতন যে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করার জন্য সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে। মানুষের আস্থা ফেরানোর ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনা একটা ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল মনে করেন যে এই সময় পুরো সমাজকে একত্রিত হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের ও সাধারণ মানুষদের এগিয়ে আসতে বলেছেন।
সন্দেশখালির যে সমস্যা তা সমাধানের জন্য রাজ্যপাল সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সব স্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে আপিল করেছেন যে তারা যেন একত্রিত হয়ে শান্তি স্থাপনের জন্য সন্দেশখালি যান এবং সেখানকার মানুষদের বলেন যে তারা তাদের পাশে আছেন। রাজভবন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে রাজ্যপালের অফিস কোন রাজনৈতিক দলের বিশ্লেষণ দ্বারা প্রভাবিত বা চিন্তিত নয়। রাজ ভবনের দরজা সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই খোলা এবং রাজ্যপাল প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলেরই কোনও বিষয় কোনও অভিযোগ থাকলে শুনতে রাজি।
রাজ্যপালের সবসময়ই চেষ্টা থাকে যে বিভিন্ন বিষয় যেগুলো তার কাছে জমা পড়ছে সেগুলি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যাতে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া যায়। অন্যদিকে, বিরোধীদের সন্দেশখালির পাল্টা শাসকের চোপড়া ইস্যু। চার শিশুর মৃত্যুতে BSFকেই দোষারোপ। মমতার তোপ, রাজ্য শিশু-কমিশনের পরিদর্শনের পর সরেজমিনে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তৃণমূলের নালিশে মঙ্গলবারই চোপড়ায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল।