সন্দীপের বাড়িতে বাহিনী বৃদ্ধি সিবিআইয়ের! সকাল থেকে তল্লাশি, দুপুরে আরও ৬ গোয়েন্দার প্রবেশ

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। সকাল ৮টা ৬ মিনিট নাগাদ তাঁরা বাড়িতে ঢুকেছিলেন। সাড়ে ১২টা নাগাদ আরও সিবিআইয়ের একটি দল সন্দীপের বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছে। সেই দলে রয়েছেন ছ’জন আধিকারিক। এ ছাড়া, সকাল থেকে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েক জন বেরিয়েও এসেছেন।

রবিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় সিবিআই। তাদের দলে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিক-সহ সাত জন। সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের। অনেক ডাকাডাকি সত্ত্বেও ভিতর থেকে কেউ সাড়া দিচ্ছিলেন না। সিবিআই আধিকারিকেরা কলিং বেল বাজিয়ে, ফোন করেও সাড়া পাননি। সন্দীপের বাড়ির দরজা, জানলা সবই ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। এক ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করার পর সিবিআইয়ের কয়েক জন আধিকারিক বেলেঘাটা থানায় যান। সন্দীপ দরজা না খুললে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, পুলিশের সঙ্গে তা আলোচনা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে সকাল ৮টা নাগাদ দেখা যায়, সন্দীপ দরজা খুলে বেরিয়ে এসেছেন। কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে আবার ভিতরে ঢুকে যান তিনি। তার পর বেরিয়ে সিবিআইয়ের জন্য দরজা খুলে দেন।

বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি।

সন্দীপের বাড়িতে প্রবেশ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই থেকে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সাড়ে চার ঘণ্টা পরে আরও একটি দল সন্দীপের বাড়িতে গিয়েছেন। ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদর মধ্যে তিন জন একটি ব্যাগ হাতে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা নিজাম প্যালেসের দিকে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরজি করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সেই ঘটনায় শনিবার এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার পর রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তৎপরতা।

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সন্দীপ ছাড়াও কয়েক জনের নাম রয়েছে। সেই তদন্তের সূত্রে রবিবার সকাল সকাল কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছেন। কেষ্টপুরে আরজি করের ফরেন্সিক কর্তা দেবাশিস সোমের বাড়ি, হাওড়ায় আরজি করের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহের বাড়ি, এন্টালিতে প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি চলছে। আরজি কর হাসপাতালেও সিবিআইয়ের কয়েকটি দল গিয়েছে। অন্তত ১৫টি জায়গায় তারা হানা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.