বন্ধুদের সঙ্গে সান্দাকফু বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম নাম তন্ময় কুণ্ডু। জানা গিয়েছে, ২৯ বছর বয়সী ওই যুবক তাড়ো সান্দাকফুতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার দিন-ই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে সুকিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
২৪ মে ৬ বন্ধুর সঙ্গে সান্দাকফু ঘুরতে গিয়েছিলেন তন্ময়। মৃতের বন্ধু, ওই গ্রুপেরই আরেক সদস্য জানিয়েছেন, টুমলিংয়ে রাত কাটিয়ে তাঁরা সান্দাকফু পৌঁছন। ২৭ মে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু ২৭ তারিখেই তন্ময় জানান যে, তাঁর পেটে ব্যথা হচ্ছে। এর খানিকক্ষণের মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তন্ময়। তাঁর শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। তখন পর্যটক হিসেবেই ঘুরতে আসা এক চিকিৎসক তন্ময়কে পরীক্ষার পর অবিলম্বে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়েও আসেন বন্ধুরা। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। কী কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। আজ দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। ওদিকে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী তথা পর্যটকরা অভিযোগ করেছেন যে, সান্দাকফু একটি অন্যতম জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট হওয়া সত্ত্বেও, প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা অমিল।
ওদিকে ট্রেকিংয়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হাওড়ার বালির সমবায়পল্লির বাসিন্দা এক অভিযাত্রীও। নাম দেবব্রত বর। বয়স ৪৬ বছর। ১১ জন সদস্যের একটি ট্রেকিং দলের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেসক্যাম্প গোচালায় গিয়েছিলেন তিনি। পাহাড়ে নির্দিষ্ট গন্তব্য ছুঁয়ে নামার পথে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় তাঁর। যার ফলে মাঝপথেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ মে বাড়ি থেকে ট্রেকিংয়ের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন দেবব্রত। ১৯ তারিখ ভিডিয়ো কলে শেষ বারের মতো পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। এরপর উচ্চতার কারণে ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে তাঁর সঙ্গে আর কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি। ২৫ তারিখ ফিরে আসার পথে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নামিয়ে আনার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়িতে মৃত্যুসংবাদ পৌঁছনোর পরই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। জানা গিয়েছে, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবব্রত। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ে।