কিশোরীকে কুপিয়েই বাসে উঠে পড়েন সাহিল, বন্ধ করেন মোবাইলও, তবু ধরিয়ে দিল সেই ফোনই!

দিল্লির রাস্তায় প্রকাশ্যে প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করেন যুবক। ২০ বার কোপানোর পর বড় সিমেন্টের স্ল্যাব দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, এর পরেই গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ঝটপট উঠে পড়েছিলেন বাসে।

অভিযুক্ত যুবকের নাম সাহিল। তাঁকে সোমবারই উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নিমেষে সাহিলের খোঁজ পেয়েছিল তারা। সাহিলকে ধরিয়ে দিয়েছিল একটি মাত্র ফোন কল।

সাহিল যে তাঁর কিশোরী প্রেমিকাকে নৃশংস ভাবে খুন করছেন, সেই দৃশ্য এলাকার সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে। রবিবার রাতের সেই ঘটনার পর সোমবার সাহিল পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলশহরে। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিলেন। নিজের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে রেখেছিলেন তিনি।

তবু সেই মোবাইলই তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশ জানায়, সাহিল বুন্দেলশহর থেকে তাঁর বাবাকে একটি ফোন করেছিলেন। তার জন্য মোবাইলটি কিছু ক্ষণ চালু রাখতে হয়েছিল। প্রযুক্তির সাহায্যে তখনই পুলিশ সাহিলের ফোনের এলাকা খুঁজে নেয়। তার পর উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ধরে ফেলা কঠিন ছিল না।

১৬ বছরের ওই কিশোরীর সঙ্গে সাহিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রবিবার তাঁদের মধ্যে কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। কিশোরী রাতে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। সেই পথেই তাকে আক্রমণ করেন সাহিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বার বার কোপ মারেন প্রেমিকার শরীরে। তার পর থেঁতলে দেন তার মাথা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এই খুনের দৃশ্য পথচলতি অনেকেই দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ যুবককে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেননি। বরং দেখেও তাঁরা পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন। খুনের অভিসন্ধি সম্পর্কে সাহিলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.