খারকিভে কোনও পড়ুয়াকে ‘জোর’ করে আটকে রাখার খবর নেই। রাশিয়ার দাবি খারিজ করে এমনই জানাল ভারত। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হযেছে, ইউক্রেনের সহযোগিতায় বুধবার খারকিভ ছেড়েছেন প্রচুর ভারতীয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে ভারতীয়দের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাস লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছে। আমরা জেনেছি যে ইউক্রেনের প্রশাসনের সহযোগিতায় গতকাল (বুধবার) প্রচুর ভারতীয় খারকিভ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কোনও পড়ুয়াদের জোর করে আটকে রাখার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য আসেনি। খারকিভ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পড়ুয়াদের দেশের পশ্চিমাংশে পাঠাতে বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত করার জন্য ইউক্রেনের কাছে আর্জি জানিয়েছি আমরা।’
কী দাবি করেছিল রাশিয়া?
বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়, ভারতীয় পড়ুয়ারা খারকিভ ছেড়ে রাশিয়ার বেলগোরোডে আসতে চাইলেও তাঁদের ‘জোরজবরদস্তি’ আটকে রেখেছে ইউক্রেনের বাহিনী। ভারতীয়দের ‘আটকে রাখা হয়েছে এবং পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে তাঁদের ইউক্রেন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’ এমন জায়গা দিয়ে তাঁদের যেতে বলা হচ্ছে, যেখানে লড়াই হচ্ছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। বিবৃতিতে ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়, ‘ভারতীয় পড়ুয়াদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধারের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আমাদের বিমান বা ভারতের বিমানের মাধ্যমে তাঁদের রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে দেশে ফেরানো হবে। যেমনটা ভারত প্রস্তাব দেবে, (সেভাবেই তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে)।’
ইউক্রেনের বক্তব্য
যদিও রাশিয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কিয়েভ। ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে খারকিভ এবং সুমিতে রাশিয়াকে হামলা বন্ধ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে ‘আমরা বিদেশি পড়ুয়া-সহ সাধারণ নাগরিকদের ইউক্রেনের তুলনামূলক সুরক্ষিত শহরে পাঠানোর বন্দোবস্ত করতে পারি।’ কিয়েভের তরফে বলা হয়, আবাসনে ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী লাগাতার গোলাবর্ষণ এবং পৈশাচিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ফলে (খারকিভ) ছাড়তে পারছেন না ভারত, পাকিস্তান, চিন-সহ অন্যান্য দেশের পড়ুয়ারা।’ সঙ্গে ইউক্রেনের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা ভারত, পাকিস্তান এবং চিনের সরকারের অবিলম্বে আর্জি জানাচ্ছি, খারকিভ এবং সুমিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আপনাদের যে পড়ুয়ারা আটকে আছেন, তাঁদের ইউক্রেনের শহরে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করার জন্য মস্কোর কাছে নিজেদের দাবি জানান।’