ইউক্রেনের খারকিভে কর্নাটকের ২১ বছরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ওই পড়ুয়া হাভেরি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয়দের যাতে সুরক্ষিতভাবে দেশে ফেরানো হয়, সেই দাবি আরও জোরালোভাবে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
কর্নাটক রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কমিশনার মনোজ রাজনকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, ‘আমরা বিদেশ মন্ত্রকের থেকে নবীন শেখারাপ্পার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। হাভেরির চালাগেরির বাসিন্দা ছিলেন উনি। স্থানীয় দোকান থেকে কিছু কিনতে বেরিয়েছিলেন। তারপর স্থানীয় এক আধিকারিকের থেকে তাঁর বন্ধু ফোন পান যে নবীন মারা গিয়েছেন।’
ইতিমধ্যে নবীনের বাবা শেখর গৌড়ার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। শেখরকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, নবীনের দেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বড়সড় আঘাত। নবীন যেন চিরশান্তিতে ঘুমাতে পারেন।’ তারইমধ্যে ছেলে হারানোর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন শেখর। তিনি জানান, আজ সকালেই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। দিনে দু’তিনবার কথা হত ছেলের সঙ্গে।
মঙ্গলবার সকালেই ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হতে থাকে, কিয়েভের উত্তরে এবং খারকিভ ও চেরনিহিভের আশেপাশে বোমা বর্ষণের মাত্রাও বাড়িয়েছে রাশিয়া। খারকিভে গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে প্রচুর ভারতীয় পড়ুয়া আছেন। দুপুরের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়, এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। কিছুক্ষণ পর সেই খবর নিশ্চিত করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
কিছুক্ষণ পর সেই খবর নিশ্চিত করে নয়াদিল্লি। দুপুর তিনটে নাগাদ একটি টুইটবার্তায় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করতে পারছি যে আজ সকালে খারকিভে গোলাবর্ষণে এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে বিদেশ মন্ত্রক। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘খারকিভ-সহ যে সব জায়গায় সংঘাত হচ্ছে, সেখানকার ভারতীয়দেের দ্রুত সুরক্ষিতভাবে যেতে দেওয়ার দাবি আরও জোরালোভাবে জানানোর জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দূতকে তলব করেছেন বিদেশসচিব। রাশিয়া এবং ইউক্রেনে আমাদের রাষ্ট্রদূতরাও একই পদক্ষেপ করেছেন।’