Russia-Ukraine War: দাউ দাউ জ্বলে উঠল রাশিয়ার বিমান! ইউক্রেন সীমান্তের কাছে মৃত্যু ৬৫ যুদ্ধবন্দির…

 ইউক্রেন সীমান্তের কাছে দক্ষিণ বেলগোরোড অঞ্চলে ইলিউশিন-৭৬ মডেলের রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে থাকা অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আজ, বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে একটি গণমাধ্যম। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে দক্ষিণ বেলগোরোড অঞ্চলে ইলিউশিন-৭৬ মডেলের রাশিয়ার একটি সামরিক পরিবহণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ৬৫ জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

বিমানে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বন্দি-সদস্যরাও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়াবলোনোভো গ্রামে একটি বিমান আছড়ে পড়ে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে ৮৩টি দেশের মধ্যে বৈঠক হয়ে গেল কিছুদিন আগে। গত রবিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এ সংক্রান্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে সভাপতি বলেছেন, আলোচনায় রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও পাকাপাকি সিদ্ধান্ত হয়নি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার দুবছর হতে চলল। এর একটা বিহিত দরকার। ইউক্রেনে পাকাপাকি শান্তি ফিরিয়ে আনতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে রবিবার ৮৩টি দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো আলোচনা করলেন। এর আগে তিনটি বৈঠক হয় হয়েছিল যথাক্রমে ২০২৩ সালের জুনে কোপেনহেগেন, অগস্টে জেদ্দায়, অক্টোবরে মাল্টায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা আন্দ্রি ইয়েরমাক ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিস যৌথভাবে ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন। ক্যাসিস বলেছিলেন, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, যাতে যে কোনও সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, এই আলোচনায় রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার পথ খুঁজে বের করাটাই জরুরি। পাশাপাশি এই আলোচনায় ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তর্ভুক্ত করাটাও খুব জরুরি। আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেন, কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে, তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও স্বাধীনতা, অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করতেই হবে। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির সঙ্গেও ইউক্রেন বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছে বলে জানান ইয়েরমাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.