রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্রের উৎক্ষেপণের কৌশলগত পারমাণবিক অনুশীলনের তদারকি করেন বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার বিপুল সেনা মোতায়েন ও ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে শক্তি প্রদর্শন করতেই এই মহড়া বলে মত বিশ্লেষকদের। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, পুতিন এবং বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেনকো ক্রেমলিন থেকে এই মহড়ায় নজর রাখেন। Tu-95 বোমারু বিমান এবং সাবমেরিনের পরীক্ষা হয় এই ‘পরিকল্পিত অনুশীলর’। ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে সমুদ্রে নিশানা লক্ষ্য করে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালায় রাশিয়ার সেনা। উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের আবহে পুতিনের তত্ত্বাবধানে রুশ সেনার এই মহড়াকে ভালো চোখে দেখছে না পশ্চিমা দেশগুলি।
এদিকে মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে দাঁড়িয়ে রাশিয়াকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন ভআইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সাফ ভাষায় কমলা জানিয়ে দেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে রাশিয়াকে। তিনি বলেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মিলিত ভাবে রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। পাশাপাশি এদিন কমলা আরও বলেন, ‘রাশিয়ার কথার সঙ্গে তার আচরণের মিল নেই।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, এর আগে যুদ্ধের আবহে আমেরিকার নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রায় ১৩০,০০০ সেনা জমায়েত করেছে রাশিয়া। ‘বন্ধু’ দেশ বেলারুশে ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়েছে মস্কো। পাঠানো হয়েছে দু’টো পারমাণবিক বোমারু বিমান। মার্কিন গোয়ান্দাদের আশঙ্কা, ২০১৪ সালের ক্রাইমিয়ার মতোই রাশিয়া আবারও হানা চালাতে পারে ইউক্রেনে। আর তা হলে বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।