৪০ বছর পর ফের একবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বিশেষ অধিবেশন বসল। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষিতেই এই অধিবেশনের ডাক দেওয়া হয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটিতে ১১টি দেশের সম্মতিতে ডাকা এই অধিবেশনে গতকাল একে অপরের দিকে আঙুল তুলল রাশিয়া ও ইউক্রেন। একদিকে ইউক্রেনের তরফে যখন রাশিয়ার আগ্রাসনের চিত্র তুলে ধরা হয়, অপরদিকে রাশিয়া এই যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে। এদিকে পরপর নিষেধাজ্ঞার চাপে এমনিতেই নাজেহাল অবস্থা রাশিয়ার। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের নাগরিকদের উপর বেশ কিছু ‘অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে মরিয়া হয়ে ওঠা রাশিয়া।
সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে আলোচনার সময় রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে। একদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে দোনবাস অঞ্চলে অপরাধমূলক কার্যকলাপ বৃদ্ধির অভিযোগ এনেছে। রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনী কোনও সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছে না। ইউক্রেন যে কাজ করছে তার জন্য আমাদের দায়ী করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাশিয়ার তরফে অভিযোগ করা হয়, তথ্যের যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিডিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে সরব হয় রাশিয়া। রাশিয়ান প্রতিনিধিন যুক্তি, ইউক্রেন মিনস্ক চুক্তি মানেনি। বরং ডোনেত্স্ক ও লুগানস্কে ইউক্রেন সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে ইউক্রেন রাষ্ট্রসংঘে বলে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এই বিষয়ে দ্রুত শুনানি করা উচিত। এক আবেগঘন বক্তৃতায় ইউক্রেনের প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, রাশিয়া সাধআরণ মানুষকে হত্যা করছে। এদিকে রাষ্ট্রসংঘে কোনও দেশই রাশিয়াকে সমর্থন জানায়নি। ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশ সরাসরি রাশিয়ার ঘাড়ে দোষ না চাপালেও অবিলম্বে রক্তক্ষয় বন্ধের দাবি তোলে। এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেজ বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান হিংসার কারণে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু হচ্ছে। যথেষ্ট হয়েছে। নিজেদের সেনা ঘাঁটিতে ফিরে যেতে হবে। রক্ষা করতে হবে সাধারণ নাগরিকদের।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে গুতেরেজ জানান, পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সাহায্য প্রদান করে যাবে রাষ্ট্রসংঘ।