ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সময় রাশিয়ার প্রায় ৪৩০০ সেনাকর্মীকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি করলেন ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার। পাশাপাশি রাশিয়ার ১৪৬টি ট্যাঙ্ক, ২৭টি যুদ্ধবিমান, ২৬টি হেলিকপ্টারও ধ্বংস করা হয়েছে বলে ফেসবুকে জানান তিনি।
এদিকে রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে যে এই সংঘর্ষে ইউক্রেনের ৪৭১ জন সেনাকর্মীকে বন্দি করেছে তারা। তাছাড়া ৯৭৫টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংসেরও দাবি করেছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের আটটি যুদ্ধবিমান, সাতটি হেলিকপ্টার এবং ১১টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তাছাড়া ২২৩টি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য যুদ্ধ যান সহ আরও ২৮টি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। এদিকে কোনাশেনকভ রাশিয়ার নিহত সৈন্যের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়, রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দোনবাস অঞ্চলে আরও ১২ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, তারা বন্দর শহর মারিউপোলের উত্তর-পূর্বে দুটি বসতিও দখল করেছে। এদিকে কোনাশেনকভ দাবি করেন, খারকিভের কাছে ইউক্রেন সেনার একটি আস্ত রেজিমেন্ট আত্মসমপর্পণ করেছে। আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ হলেই আত্মসমর্পণ করা সৈনিকদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে দেওয়া হবে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে খারকিভে রবিবার বিশাল সংঘর্ষ হয় দুই পক্ষের। দিনের শেষে ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয় যে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ পুরোপুরি ইউক্রেন সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে রবিবার দু’টি ইউক্রেনিয়ান শহর দখল করার দাবি করে রাশিয়া। মস্কো রবিবার দাবি করে যে রাশিয়ার সেনা দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর খেরসন এবং দক্ষিণ-পূর্বের বারদিয়ানস্ক শহর ‘পুরোপুরি’ দখল করেছে। এর আগে কিয়েভেও বোমা বর্ষণ জারি রাখে রাশিয়া। তবে কিয়েভের থেকে বেশ কিছুটা দূরেই আটকে পড়েছে রুশ সেনা।