পূর্ব ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’, মত রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের

পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেত্সদক এবং লুহানৎসককে গতকালই ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই রাশিয়ার তরফে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এই অঞ্চলগুলিতে ‘শান্তিরক্ষা বাহিনী’ মোতায়েন করার ঘোষণা করা হয়। এই আবহে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বিশ্বাস করেন যে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনকে স্বাধীন সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। রাষ্ট্রসংঘের একজন মুখপাত্র মহাসচিবের এই বিবৃতি প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, গতকালই ক্রেমলিনে বসে ডোনেত্সদক এবং লুহানৎসকের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিন অভিযোগ করেন, পূর্ব ইউক্রেনে অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে কিয়েভকে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে বলেন পুতিন। পরোক্ষভাবে তিনি যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এদিকে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অঞ্চলগুলির বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার পদক্ষেপ সম্পর্কে আমেরিকা রাষ্ট্রসংঘে বলে, ‘ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর স্পষ্টভাব আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। এই আক্রমণ বিনা উস্কানিতে করা হয়েছে। এটি রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর আক্রমণ। এটি আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি লঙ্ঘন করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই পদক্ষেপ স্পষ্টতই ইউক্রেনে আরও আক্রমণের অজুহাত তৈরি করার রাশিয়ার প্রচেষ্টার ভিত্তি।’ আমেরিকার তরফে আরও বলা হয়, ‘আগামীকাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে আরও ব্যবস্থা নেবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার যদি পুরোপুরি আক্রমণ করলে দ্রুত এবং কঠোর প্রতিক্রিয়া করতে হবে। এই মুহূর্তে কেউ পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.