সীমান্তে এত সেনা কেন মোতায়েন করেছে রাশিয়া (Russia), তা ব্যাখ্যা করতে ইতিপূর্বে ইউক্রেনের (Ukraine) তরফে বলা হলেও মস্কো শোনেনি। এরই প্রেক্ষিতে এবার এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রকৃত পরিকল্পনা আসলে ঠিক কী, তা খোলসা করতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি বৈঠকে বসার আহ্বান জানাল ইউক্রেন সরকার। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এই কথা জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার প্রেসিডেন্ট ভলোদাইমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলতে কিয়েভে এসে পৌঁছেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ। মঙ্গলবার স্কোলজের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। আবার বেলারুশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সম্ভাব্য রুশ হামলা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভের। রেজনিকভ আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কিয়েভ, জোট দেশগুলির কাছ থেকে অন্তত ১,৫০০ টন অস্ত্রশস্ত্র পেয়েছে, যা সেখানে এসে পৌঁছেছে ১৭টি বিমানে করে। এর মধ্যে ১৮০ টনই এসেছে আমেরিকার তরফে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এরই মধ্যে একাধিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে ইউক্রেনকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনা। বেসরকারি মার্কিন সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজিস-এর তোলা উপগ্রহ চিত্রে এই রুশ পদক্ষেপের প্রমাণ মিলেছে বলেই খবর। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, কিয়েভকে বেকায়দায় ফেলতে তিনটি ফ্রন্ট খুলতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই বেলারুশ (গমেল শহর), ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় সীমান্তবর্তী কৌশলগত জায়গায় অবস্থান নিয়েছে হাজার হাজার রুশ সেনা। প্রস্তুত রয়েছে সাঁজোয়া গাড়ি, কামান, রকেট লঞ্চার এবং মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম।
অন্যদিকে, আমেরিকা (US) দাবি করেছে, যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে অতর্কিত হামলা চালাতে পারে রাশিয়া এবং প্রয়োজনে তার জন্য পূর্বনির্ধারিত কোনও কৌশলও অবলম্বন করতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জেক সুলিভান জানিয়েছেন, “হামলা হতে পারে যে কোনও দিন। আমরা যথাযথভাবে বলতে পারব না যে সেটা কোন দিন। তবে এই কথাটা বারবার অনেক আগে থেকেই বলে আসছি যে, আমরা সেই সময়সূচির মধ্যে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছি।” সুলিভান স্পষ্টভাবে কিছু না বললেও মার্কিন গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, বুধবার ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া। তবে ওয়াশিংটন এ কথাও পাশাপাশি জানিয়েছে, নেটো এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।