ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এ বার পরমাণু হামলার মহড়া শুরু করল রুশ সেনা। বুধবার রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী ‘নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স’ এই মহড়া চালিয়েছে। সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু যুদ্ধ পরিস্থিতি সংক্রান্ত ওই মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন। টেলিভিশনের পর্দায় রুশ প্রেসিডেন্টের পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি দেখার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণার পর এই প্রথম বার রুশ ‘নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স’-এর মহড়া হল। এর আগে স্থল এবং ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে রুশ ফৌজ। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো এবং ইউক্রেনের উপর চাপ বাড়াতে পুতিন কৃষ্ণসাগরের গভীরে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করতে পারেন বলে সম্প্রতি কয়েকটি পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল। বুধবারের পর সেই সম্ভাবনা আরও প্রবল হল বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
জ়াপোরিজিয়া, খেরসন-সহ কিছু এলাকায় গত ১০ অক্টোবর থেকে নতুন করে হামলা শুরু করেছে রুশ সেনা। সামরিক লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি নির্বিচারের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির দেওয়া অস্ত্রের সাহায্যে সেই হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুগত বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া পরমাণু হামলা চালাতে পারে বলে সম্প্রতি আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো কয়েকটি দেশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে মস্কোকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
অন্য দিকে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে, ‘ডার্টি বম্ব’ ব্যবহারের পরিকল্পনার অভিযোগ তোলা হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু সোমবার দাবি করেছিলেন, রুশ সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলির মদতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ-যুক্ত ওই ‘নোংরা বোমা’ ব্যবহারের ছক কষছে কিভ। বুধবার সেই অভিযোগ করেছেন পুতিনও