কংগ্রেসের বাকি নেতাদের অমত সত্ত্বেও জওহরলাল নেহেরু 1963 সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আরএসএসের স্বয়ং সেবক দের নিমন্ত্রণ জানান।
স্মৃতিচারণায় এমনই চমকপ্রদ তথ্য দিলেন সেদিনের অংশগ্রহণকারী স্বয়ংসেবক শ্রী নরেন্দ্র সায়গল জী।
জওহরলাল নেহেরু বরাবরই আরএসএস কে অপছন্দ করতেন। কিন্তু 1962 সাল তার ধারণায় আমূল পরিবর্তন এনে দেয়। ওই বছর চীন-ভারত যুদ্ধের সময় চিনা লাল-ফৌজ আসামের সীমান্ত পেরিয়ে সংলগ্ন অঞ্চলের গ্রামগুলিতে নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। এই সময় আসামের তৎকালীন সঙ্ঘচালক ঠাকুর রাম সিংয়ের নেতৃত্বে সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক রা অকুস্থলে পৌঁছে যায়। লাল-ফৌজ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে, আহত সৈন্যদের রক্তদান ও শুশ্রূষার মাধ্যমে দেশপ্রেমের এক অনন্য নজির স্থাপন করেন। সেই আপৎকালে সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের দেশের জন্য সমর্পন ভাব, সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই দেখে আপ্লুত হন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় গুরুজি গোলওয়ালকার সংঘের পক্ষ থেকে সরকার এবং সেনাবাহিনীর পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেন। এই দেশ ভক্তির পুরস্কার ছিল সেই আমন্ত্রণ। তখনকার দিনে মাত্র তিন দিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বয়ংসেবক নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়ে যান দিল্লি তে, এমনই ছিল সঙ্ঘর সংযোগ ব্যবস্থার পারদর্শিতা।নরেন্দ্র জি জানালেন তিনি এসেছিলেন রহতাক থেকে। এছাড়াও বাহাদুরগড় থেকে, সোনেপথ থেকে অজস্র স্বয়ংসেবক একত্রিত হন দিল্লিতে।
দেশাত্মবোধক, বীররসে সিঞ্জিত তাঁদের গানে তাঁরা সেনাবাহিনীর প্রাণে সঞ্চার করেন অতুলনীয় উদ্দীপন।
সঙ্ঘ র সুদুরপ্রসারী প্রভাব যা কি না তার ঘোষিত বিরোধী কেও মুগ্ধ করে, তার মূলে রয়েছে কর্মযোগ, দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, বলছিলেন সেদিনের যুবক ও আজকের প্রবীন স্বয়ংসেবক শ্রী সায়গল জি।~আদিত্য।