ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে জিততে পারল না এটিকে মোহনবাগান। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠতে পারবে না জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। বৃহস্পতিবার গোয়ার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে এটিকে মোহনবাগানেরও স্বপ্নভঙ্গ করল ওড়িশা এফসি। এদিন ওড়িশাকে হারালেই আরও একটু ভালো জায়গাতে থাকত এটিকে মোহনবাগান। সেখানে এদিন ম্যাচ ড্র করার ফলে ফেরান্দো স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়েছেন। এদিনের ম্যাচের ফল ১-১। এদিন ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করার ফলে ১৭ ম্যাচের শেষে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার তিন নম্বরে থাকল এটিকে মোহনবাগান।
এদিন খেলার ৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ওড়িশা। খেলার পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ওড়িশা। রিডিমের বাঁ পায়ের শট ওড়িশার জালে জড়িয়ে যায়। অবশ্য ডান দিক থেকে যখন গড়ানে সেন্টার করা হচ্ছে তখন রিডিমের সঙ্গে ছিলেন প্রতীম কোটাল। তাঁকে ফাঁকি দিয়ে ওড়িশাকে এগিয়ে দেন রিডিম। তবে রিডিমের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ওড়িশা। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
হুগো বুমোসকে ওড়িশার পেনাল্টি বক্সে ফেলে দেন ওড়িশার সাহিল। পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। ৮ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের কাউকো। ওড়িশার গোলকিপারকে উলটো দিকে ফেলে দিয়ে এটিকে মোহনবাগানকে ম্যাচে ফেরান জনি কাউকো। এরপরে ২২ মিনিটে পেনাল্টি পায় ওড়িশা। আরিদাইকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন তিরি। পেনাল্টি থেকে অবশ্য গোল করতে পারেননি জাভি। পরে গোল করার সহজ সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশা। এটিকে মোহনবাগানও গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু কাজের কাজটা কোনও দলই করতে পারেনি। ফলে দু’ দলের খেলা শেষ হল ১-১ গোলে। খেলার অতিরিক্ত সময়ে রয় কৃষ্ণ জোড়া হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে যান। ম্যাচ ড্র সঙ্গে রয় কৃষ্ণের লাল কার্ড ফলে একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ল এটিকে মোহনবাগান।