বার বার থামল খেলা। বার বার নিরাপত্তারক্ষীদের নামতে হল মাঠে। ইউরো কাপে পর্তুগাল বনাম তুরস্ক ম্যাচে খেলা চলাকালীন ছ’জন মাঠে নেমে পড়লেন। এক জন রোনাল্ডোর ঘাড় ধরে জোর করে নিজস্বী তোলার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই ঘটনায় মাঠে মেজাজ হারাতে দেখা যায় রোনাল্ডোকে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে পর্তুগাল তৃতীয় গোল করার পরে। মাঠে ঢুকে পড়ে এক কিশোর। সে গিয়ে সরাসরি রোনাল্ডোর সামনে চলে যায়। তাকে দেখে অবশ্য রোনাল্ডো রাগ করেননি। হাসি মুখে তার সঙ্গে নিজস্বী তোলেন। তার পরে কিশোর মাঠ থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা তার পিছনে ছোটেন। অনেক কষ্টে তাকে ধরেন তাঁরা।
তার পরেই দেখা যায় এক তরুণ মাঠে ঢুকে পড়েছেন। তিনি গিয়ে সোজা রোনাল্ডোকে জড়িয়ে ধরেন। রোনাল্ডোর ঘাড়ের কাছে হাত নিয়ে গিয়ে নিজস্বী তোলার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তরুণকে সরিয়ে নিয়ে যান। এই ঘটনা ভাল ভাবে নেননি রোনাল্ডো। তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখা যায়।
তার পরে সংযুক্তি সময় চলাকালীন আরও দুই যুবক মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীরা প্রস্তুত ছিলেন। তাঁরা দু’জনকে ধরে ফেলেন। খেলা শেষের বাঁশি বাজার পরে আরও দু’জন মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদেরও কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ধরে ফেলা হয়।
একই ম্যাচে যে ভাবে ছ’জন মাঠে ঢুকে পড়লেন তা ইউরোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ইউরোপের প্রথম সারির দেশের প্রথম সারির ফুটবলারেরা এখানে খেলেন। রোনাল্ডো ছাড়াও কিলিয়ান এমবাপের মতো তারকা রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তা যথাযথ রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চলতি প্রতিযোগিতায় এর আগেও খেলা চলাকালীন মাঠে জোর করে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
মাঠে লোক ঢুকে পড়লেও পর্তুগালের ম্যাচ জিততে অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি। তুরস্ককে অনায়াসে ৩-০ হারিয়ে ইউরো কাপের প্রি-কোয়ার্টারের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছেন রোনাল্ডোরা। গোল করেন বের্নার্দো সিলভা, সামেত আকায়দিন (আত্মঘাতী) এবং ব্রুনো ফের্নান্দেস।