রাজকোটে ৪৫ বলে শতরান করেছেন তিনি। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উড়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রোহিত শর্মার ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছেন সূর্যকুমার যাদব। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য বলছেন, এখন ভারতের সেরা ক্রিকেটার সূর্যই। কিন্তু সূর্য নিজেকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর মতে, কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের জন্যই এ রকম খেলতে পারছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩টি শতরান করেছেন সূর্য। তাঁর আগে রয়েছেন একমাত্র রোহিত। ভারত অধিনায়কের ৪টি শতরান রয়েছে ছোট ফরম্যাটে। তবে সূর্য যে ভাবে এগোচ্ছেন তাতে যে কোনও দিন রোহিতকে ছুঁয়ে ফেলতে পারেন তিনি। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও নিউ জ়িল্যান্ডের কলিন মুনরোর ৩টি করে শতরান রয়েছে টি-টোয়েন্টিতে।
শতরান করে সূর্য জানিয়েছেন, কোচ দ্রাবিড় তাঁকে তাঁর স্বাভাবিক খেলা খেলতে বলেছেন বলেই সাফল্য পাচ্ছেন তিনি। সূর্য বলেছেন, ‘‘দ্রাবিড় আমাকে বলেছেন খেলা উপভোগ করতে। নিজের পছন্দ মতো শট খেলতে। সেটাই আমি করেছি। বাউন্ডারি ৫৯-৬০ মিটার ছিল। তাই ছক্কা মারার চেষ্টা করছিলাম। কিছু শট আগে থেকেই ঠিক করে রাখছিলাম। তবে সেই সঙ্গে বিকল্প শটও তৈরি ছিল। বেশির ভাগ সময় আমি এমন জায়গায় মারার চেষ্টা করছিলাম যেখানে ফিল্ডার নেই। সেটা করতে সফল হয়েছি।’’
সূর্যকুমার জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের পিছনে আরও একটি কারণ হল পরিশ্রম ও অনুশীলন। তিনি বলেছেন, ‘‘যখন প্রস্তুতি নিই তখন নিজেকে চাপে রাখার চেষ্টা করি। সেই সময় যত চাপ নেওয়া যাবে তত ভাল প্রস্তুতি হবে। অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করি। তার ফল খেলার সময় পাচ্ছি।’’
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শতরানের পর হাসি থামছিলই না সূর্যের। তার মধ্যেই তিনি বলেছেন, “যে ভাবে খেলেছি তাতে খুবই খুশি। অধিনায়ক টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ব্যাটারদের উপর ওর কতটা আশ্বাস রয়েছে। কিছু কিছু শট খেলার ব্যাপারে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম। বাকি যে শটগুলো খেলেছি, সেগুলো গত এক বছর ধরেই খেলে চলেছি। আলাদা করে কিছুই প্রস্তুতি নিইনি। ২০২২-য়ে কী ভাবে খেলেছি সেটা মাথায় রাখছি না। ওটা আমার কাছে অতীত। ২০২৩-এ সব নতুন করে শুরু করেছি। আশা করি গোটা বছরটা এ ভাবেই খেলে যেতে পারব।”