বিশ্বকাপে ধারাবাহিক সাফল্যের পরেও চিন্তা যাচ্ছে না রোহিত শর্মার। দল ভাল খেললেও কপালে ভাঁজ পড়ছে ভারত অধিনায়কের। তার একটাই কারণ। দলের ফিল্ডিং। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি সহজ ক্যাচ পড়েছে। কিছু বল হাতের ফাঁক গলে চার হয়েছে। এই ভুলগুলিই পরবর্তী কালে দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রোহিত।
ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘‘বিশ্বে ভাল ফিল্ডিং দল হিসাবে আমরা পরিচিত। কিন্তু এই ম্যাচে একেবারেই ভাল ফিল্ডিং করতে পারিনি। জাডেজা বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। ও সহজ ক্যাচ ছেড়েছে। এক-আধটা ম্যাচে এ রকম হতে পারে। কিন্তু বার বার এই ভুল করলে সমস্যায় পড়তে হবে।’’
রোহিত চান যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। ফিল্ডিং ভাল না করলে কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমস্যায় পড়ব। সামনের দিকে এগোতে গেলে আমাদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নিখুঁত হতে হবে।’’
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ রানের মাথায় রাচিন রবীন্দ্রের সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন জাডেজা। রবীন্দ্র করেছেন ৭৫ রান। আবার ৭০ রানের মাথায় ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ ছাড়েন যশপ্রীত বুমরা। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রান করেন মিচেল। অর্থাৎ, দু’টি ক্যাচ ছাড়ার খেসারত হিসাবে ১২৩ রান দিতে হয়েছে ভারতকে। শেষ পর্যন্ত দল জিততে না পারলে হারের সব থেকে বড় কারণ হিসাবে উঠে আসত এই দু’টি ক্যাচ মিস্। আগামী দিনে যাতে এই ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগে থেকে দলকে সতর্ক করেছেন ভারত অধিনায়ক।
পাশাপাশি দলের জয়ের দুই নায়ক মহম্মদ শামি ও বিরাট কোহলির প্রশংসা শোনা গিয়েছে রোহিতের মুখে। শামিকে নিয়ে রোহিত বলেন, ‘‘শামিকে নিয়ে যত কথাই বলব ততই কম পড়বে। ও এত দিন বাইরে বসেছিল। তাই প্রথম সুযোগ ওর কাছে আসার পরেই সেটা লুফে নিয়েছে। এতেই ওর আসল জাত বোঝা যায়। তার উপর এত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই ধরনের পরিবেশে কী রকম বল করতে হয় সেটা জানে। আলাদা করে ওকে কিছুই বলতে হয়নি।”
অন্য দিকে বিরাটের প্রসঙ্গে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘এত বছর ধরে কোহলি দলের জন্যে এই কাজ করে এসেছে। ও জানে কখন কী ভাবে খেলতে হয়। নিজেকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে ওকে আলাদা করে কিছু বলে দিতে হয় না। মাঝের দিকে কয়েকটা উইকেট হারানোর পর ও এবং জাডেজাই ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে এনে দিল।”