Rohingya, national security, court, দেশের নাগরিকদের অগ্রাধিকার! রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদজনক, আদালতে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

বিদেশি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। তাদের মুক্তির দাবিতে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থান জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদজনক। একটি উন্নয়নশীল এবং জনবহুল দেশ হিসেবে নিজেদের নাগরিকদের দেখভালকেই অগ্রাধিকার দেবে ভারত। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ হিসেবেই দেখা হয়েছে।

বিদেশি আইন অমান্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। তাদের মুক্তির দাবিতে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই দেশের নাগরিকদের অগ্রাধিকারের কথা বলেছে কেন্দ্র। মায়ানমারে জাতি দাঙ্গার পর সেখান থেকে ভারত-বাংলাদেশ সহ একাধিক দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ। সিএএ কার্যকর হওয়ার পর নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্পষ্ট করা হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে নির্যাতিত অমুসলিম সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেবে ভারত। যদিও এর বাস্তবায়ন নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিরোধী নেতৃত্বের কাছে তিনি রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করছেন না কেন বলে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন।

কেন্দ্র নিজের হলফনামায় বলেছে বিদেশি শুধুমাত্র সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে জীবন এবং মানবিক স্বাধীনতার অধিকার উপভোগ করতে পারেন, কিন্তু ভারতে বসবাস বা বসতি স্থাপনে মৌলিক অধিকার দাবি করতে পারেন না। এই অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটেছে ২০১৭ সালে। মোদী সরকারের দাবি, গত দু’ বছরে চার গুণ বেড়েছে জনসংখ্যা, তার পেছনে এই অনুপ্রবেশ দায়ী।

উল্লেখ্য, কেন্দ্র রোহিঙ্গা মুসলিমদের কখনোই শরনার্থী হিসেবে বিবেচনা করেনি বরং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলেই তাদের ধরা হয়েছে। এবার একেবারে স্পষ্ট করে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদজ্জনক বলে আদালতে জানিয়ে দিল কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.