গতরাতের গোলমালের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে নজর রিষড়ায় (Rishra Chaos)। উত্তরবঙ্গের কর্মসূচি কাটছাঁট করে সকালেই কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে এসেছেন রিষড়ায়। ঘুরে দেখেছেন অশান্তি কবলিত এলাকা। এদিকে বিজেপি নেতৃত্বও সকাল থেকে তৎপর। শ্রীরামপুরে যাওয়ার পথে মাঝরাস্তায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাই আর কোনও ঝুঁকি নেননি হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। পুলিশের বাধা এড়াতে গাড়িতে না গিয়ে ট্রেনে চেপে পৌঁছে গিয়েছেন রিষড়ায়। তিনি রিষড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নামতেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ। স্টেশন চত্বরে আগে থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল।
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘যেভাবে এখানে ভাঙচুর করা হয়েছে, তা আমি দেখতে এসেছি। ওনারা রাস্তায় আটকাবে বলেছিল। আমি ট্রেনে চেপে এসেছি।’ লকেট জানালেন, তিনি দলের আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চান। অন্যদিকে পুলিশকর্মীদের তরফেও বিজেপি সাংসদকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, যাতে তিনি না যান। এদিকে সাংসদও নিজের অবস্থানে অনড়। গতরাতের ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি সাংসদের।
লকেট চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘এটা তো ১৪৪ নয়। এটা তো স্টেশন চত্বর। পুলিশকে কাগজ দেখাতে হবে যে এখানে স্টেশনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এখানে ট্রেন যাতায়াত করছে, এত যাত্রীরা যাচ্ছেন। কীভাবে স্টেশনে ১৪৪ ধারা?’ প্রসঙ্গত, এদিন বিকেল প্রায় ৪টে নাগাদ রিষড়া স্টেশন পৌঁছান লকেট। এরপরই পুলিশের সঙ্গে কার্যত বচসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ সাংসদকে স্টেশন থেকে বেরোতে বাধা দিলে, সেখানেই বসে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।