ধানক্ষেতেও ‘দুর্নীতির খনি’। ইডি-র আগেই তদন্তে কলকাতা পুলিস! স্রেফ চার্জশিট পেশ নয়, গ্রেফতার করা হয়েছিল চন্দক ভাইদের। সেই তদন্ত কেন থমকে গেল? জি ২৪ ঘণ্টার হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র হেফাজতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। এখন অবশ্য তিনি বনমন্ত্রী। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এমনকী, বাদ যাননি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাও। নজরে একাধিক বেনামি কোম্পানি ও সম্পত্তি।
এদিকে এই রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ধান ধান কেলেঙ্কারির হদিশ পেয়েছেন ইডি-র আধিকারিক। অভিযোগ, ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্ট খুলে সরকারি সহায়ক মূল্য়ের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। কীভাবে? ৫ বছর আগেই তদন্তে নেমেছিল কলকাতা পুলিস। নির্দিষ্ট অভিযোগে ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছিল ভবানীপুর থানার পুলিস।
ঘটনাটি ঠিক কী? অভিযোগ সেই একই। ২০১৮ সালে অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের কর্ণধার দীপেশ চন্দক ও হিতেশ চন্দকের বিরুদ্ধে ভবানীপুরে থানার অভিযোগ দায়েক করেন তারক মণ্ডল নামে এক ব্য়ক্তি। ধাপা এলাকার বাসিন্দা তিনি।
চলতি বছরেই চার্জশিটে পেশ করে পুলিস। চার্জশিটে উল্লেখ, সরকারি আধিকারিকদের একাংশের মদতে ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্ট খুলে সরকারি সহায়ক মূল্য়ের টাকা তছরূপ করা হচ্ছে। সরবরাহ করা হচ্ছে নিম্ন মানের চালও। বেশ কয়েকজবন ভুয়ো চাষী আদালতের গোপন জবানবন্দি দেন। তাঁরা জানান, কোনও দিন ধান বিক্রি না করলেও সরকারি সহায়ক মূল্যের ভাগ পেয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত দীপেশ চন্দক ও হিতেশ চন্দককে গ্রেফতার পর থেমে যায় তদন্ত।