সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) যথেচ্ছ ভুয়ো খবর ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ফেসবুক (Facebook), টুইটারের (Twitter) মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন দরকার। এই মর্মে আরজি জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কেন্দ্র ও অন্য কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠাল শীর্ষ আদালত। আরজিতে বলা হয়েছে, ভুয়ো খবর বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য প্রচারিত হলে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে দায় নিতে হবে।
এদিন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপন্না এবং বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ ওই নোটিশ জারি করে। সংবাদমাধ্যম, বৈদ্যুতিন সংবাদ চ্যানেল ও নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার নিষ্পত্তির জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গড়ার আরজি শীর্ষ আদালতে আগেই জমা পড়েছিল। দু’টি বিষয়ের শুনানি এক সঙ্গেই হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে আইন চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী বিনীত জিন্দাল। তাঁর দাবি, এমন ব্যবস্থা করতে হবে যে, ভুয়ো খবর ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য স্বল্প সময়ের মধ্যে যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়। বাকস্বাধীনতা অত্যন্ত জটিল বিষয়। তার অপব্যবহার হচ্ছে। তাই দায়বদ্ধতা ও কর্তব্য নিশ্চিত করার সময় হয়েছে। এর জন্য কিছু বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন। প্রথাগত সংবাদমাধ্যমের চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তার অনেক বেশি। এর অপপ্রয়োগে দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটা কিছু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রসঙ্গও আর্জিতে উল্লেখ করেছেন বিনীত।
এর আগে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত ২৫ জানুয়ারি প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, নিউজ ব্রডকাস্টার্স ফেডারেশন ও নিউজ ব্রডকাস্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটির জবাব চেয়েছিল। জনস্বার্থ মামলায় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা অনিয়ন্ত্রিত ও সীমা লঙ্ঘন করছে। সংবাদমাধ্যমের ব্যবসা ও আইন খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বা বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ার আবেদনও জানানো হয়। দু’টি মামলার শুনানিই একসঙ্গে হবে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে।