আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার পেয়েই অ্য়াকশনে সিবিআই। স্রেফ দিল্লিতে খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজুই নয়, আগামীকাল বুধবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সঙ্গে মেডিক্যাল ও ফরেনসিক টিমও। আর জি কর হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখবেন তাঁরা।
পুলিসকে মুখ্যমন্ত্রী যে সময়সীমা বেঁধেছিলেন, সেই সময়সীমা শেষ হয়নি এখনও। আর জি কর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্টে। আদালতে রীতিমতো ভর্ত্সনার মুখে পড়ল পুলিস। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘তদন্তে তেমন কোনও অগ্রগতি নেই। প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা। তাই সময় নষ্ট করা যাবে না। সমাজে বিশ্বাস বজায় রাখা প্রয়োজন। একজন ডাক্তার মৃত্যু, তার পরেও সুপার, প্রিন্সিপাল চুপ। যেটা সন্দেহজনক’।
হাইকোর্টের রায়ের পর কলকাতা পুলিসের কাছ থেকে কেস ডায়েরি সংগ্রহ করে সিবিআই। FIR-র কপিও পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে। সেই FIR-র ভিত্তিতে আরজি কর কাণ্ডে দিল্লিতে সিবিআই খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে বলে খবর।
এদিকে বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্টে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। আর জি করকাণ্ডেও তেমনটা হবে না তো? শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর যদি সু্প্রিম কোর্টে মামলা গড়ায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতিতে শুনানি করা যাবে।
এর আগে, গতকাল সোমবার আরজি করে নিহত চিকিত্সকের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মৃত্যু খুবই অমানবিক, ন্যক্কারজনক, নৃশংস। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে কেসটা গিয়েছে, একেবারে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক। রবিবারের মধ্যে যদি পুলিস এই কেসের সুরাহা করতে না পারে তাহলে আমরা এই কেস সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব’।’